বাংলার ভোর প্রতিবেদক
অবশেষে যশোরে করোনা পরীক্ষা কিট সঙ্কট প্রাথমিকভাবে কেটেছে। র্যাপিড এন্টিজেন পরীক্ষার জন্য দু’হাজার কিট পেয়েছে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল। প্রাথমিকভাবে হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের পরীক্ষার জন্য এই কিট ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন শাফায়েত। তবে শুক্রবারসহ এরই মধ্যে যশোরে তিনজনের করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতাল সূত্র জানায়, শুক্রবার বিকেলে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন সাবিলা খাতুন (৫৫) নামে করোনা আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে গত বুধবার দিনগত রাতে যশোর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ইউসুফ হোসেন (৪২) মারা যান। মৃত ইউসুফ হোসেন মণিরামপুর উপজেলার মাহমুদকাঠি গ্রামের বাসিন্দা। একই দিন ভোররাতে (১৭ জুন) করোনায় বাঘারপাড়া উপজেলার জহুরপুর গ্রামের বাসিন্দা শেখ আমির হোসেনের (৬৮) মৃত্যু হয়। তিনিও যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ নিয়ে যশোরে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৩ জনে। এছাড়া করোনা সন্দেহে তিন রোগী এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হাসপাতাল সূত্র আরও জানায়, মৃত্যুর মাত্র দুই ঘণ্টা আগে র্যাপিড অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ইউসুফের করোনা শনাক্ত হয়েছিল। মারা যাওয়া ওই দুজনই হাসপাতালে সাধারণ রোগী হিসেবে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে তাদের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছিল। উপসর্গ দেখে সন্দেহ হলে শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতাল থেকে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে তাদের পরীক্ষা করানো হয়। কারণ কিট না থাকায় হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছিল না। তবে বৃহস্পতিবার বিকেলে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য দু’হাজার কিট প্রদান করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ফলে হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে করোনা পরীক্ষার দ্বার খুলেছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হোসাইন শাফায়েত জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দু’হাজার কিট পাওয়া গেছে। এগুলো দিয়ে র্যাপিড এন্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হবে। তবে কিটের পরিমাণ কম হওয়ায় এগুলো দিয়ে আপাতত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করা হবে। পরবর্তীতে আরও কিট পওয়া গেলে পরীক্ষার আওতা বাড়ানো হতে পারে।
এদিকে, করোনা পরীক্ষার জন্য যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আরটিপিসিআর ল্যাবও প্রস্তুত করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপাচার্য আবদুল মজিদ জানান, স্বাস্থ্য বিভাগকে কিট সরবরাহের জন্য বলা হয়েছে। সেগুলো পাওয়া গেলে ল্যাবে কোভিড পরীক্ষা শুরু করতে পারবেন তারা।
এ ব্যাপারে যশোরের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল জানান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ করোনা পরীক্ষার জন্য কিটের আবেদন জানিয়েছে। দ্রুতই এই কিট সরবরাহের জন্য প্রক্রিয়া চলছে। এই কিট পাওয়া গেলে যশোরে আরটিপিসিআর ল্যাবে করোনা পরীক্ষা সম্ভব হবে।