স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
অবশেষে কুইন্স হাসপাতালের ৭০৩ নম্বর কেবিন ছেড়েছেন মাহমুদা খাতুন ও তার দুই মেয়ে রাবেয়া ও ফাতেমা। শনিবার রাতে তারা হাসপাতালের কেবিন ছেড়ে চলে যান। গেল ১৭ মার্চ থেকে তারা একটানা ৫৮ দিন হাসপাতালটির একটি কেবিন দখল করে ছিলেন। যা নিয়ে রীতিমত হৈ চৈ পড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টি গড়ায় স্বাস্থ্য ও বিভাগ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয় সিভিল সার্জন কার্যালয়ে।
জানা যায়, মায়ের অসুস্থতাকে পুঁজি করে তার দুই মেয়ে অপকর্মে জড়িয়ে পড়ে। নিজেদের পরিচয় ,কর্মকাণ্ড গোপন রাখার চেষ্টা করলেও বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। রোগীর ছোট মেয়ে ফাতেমা ওরফে ইরানির স্বামী ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান হাসপাতালে আসার পর গোপন রহস্য বেরিয়ে আসে। ওই দুই মেয়ে মায়ের অসুস্থতার কথা বলে তার কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন আত্মীয় ও মানুষের সাথে প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো। পরে যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশের হস্থক্ষেপে শনিবার রাতে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করে। তবে হাসপাতাল ত্যাগ করলেও প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার বিল পরিশোধ করেনি তারা।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু তারা বাধ্য হয়ে থানায় অভিযোগ করেছে। তাই থানা পুলিশের সিদ্ধান্তের জন্য তারা অপেক্ষা করছেন।
উল্লেখ্য, মাহমুদা খাতুন নামের ওই রোগী ফোঁড়া অপারেশনের জন্য হাসপাতালটিতে ভর্তি হন। তিনি ডা. মাহবুব আলমের কাছে ফোঁড়া অপারেশন করান। পরবর্তীতে দীর্ঘ সময় নানা অজুহাতে তারা হাসপাতালে অবস্থান নেন। কুইন্স হাসপাতালের আইটি অ্যডমিন হাসান ইমাম শিমুল বলেন, থানায় লিখিত অভিযোগের পর পুলিশ ওই রোগীকে হাসপাতাল ছাড়তে বলেন। পরে শনিবার সন্ধ্যায় রোগী কেবিন ছেড়ে চলে যায়। প্রায় দুই লক্ষ টাকা বকেয়া বিল রয়েছে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছেন তারা তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেবেন।
এবিষয়ে জানার জন্য যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকের মুঠোফোনে কয়েক দফায় ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।