অভয়নগর সংবাদদাতা
যশোর জেলার গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।
অভয়নগর উপজেলার রোগীসহ যশোর সদরের একাংশের, নড়াইল, মণিরামপুর ও খুলনার ফুলতলা উপজেলার রোগীরা ও চিকিৎসা সেবা নিয়ে থাকেন। সেই জন্য সারাবছরই রোগীদের চাপ থাকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে বহির্বিভাগে ৪৫০ জন চিকিৎসা সেবা নেয়ার পাশাপাশি গড়ে প্রতিদিন ৪০ জন রোগী ভর্তি হন যাদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার জন্য রয়েছেন মাত্র ২০ জন চিকিৎসক। চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে ২০০৮ সালে ৩৫ শয্যার হাসপাতালটিকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করা হয়। যার অনেকটাই কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ। ১৯৭৮ সালে চিকিৎসা সেবা শুরু করা হাসপাতালটির চিকিৎসা চলছে জরাজীর্ণ ভবনে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের বিভিন্ন স্থানের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে। পলেস্তারা খসে পড়ে রোগী ও তাদের স্বজনরা আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়াও কিছু কিছু স্থানে বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ভর্তি রোগীদের বিড়ম্বনা সৃষ্টি করে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন চিকিৎসক ও রোগীরা। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা যেমন চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন তেমনি ডাক্তার ও সেবিকারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসা সেবা চলমান রেখেছেন। চরম অবহেলিত এ হাসপাতালটির অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং ১০০ শয্যায় উন্নীত করে সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো এখন সময়ের দাবি।
এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, ২০২২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী হাসপাতাল ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে নিতে বলেন কিন্তু এত বড় কার্যক্রম অন্যত্র সরিয়ে চিকিৎসাসেবা দেয়া সম্ভব না। তাই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেই চিকিৎসা দিতে বাধ্য হচ্ছি।
যশোর সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস বলেন, সংসদ সদস্য (যশোর ৮৮/৪) এনামুল হক বাবুলের সাথে সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে আগামী জুলাইতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি ভেঙ্গে ফেলা হবে।