বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরেরর বাঘারপাড়ার কৃষ্ণনগর গ্রামে এক বিএনপি কর্মীকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে জখম করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। গুরুতর জখম আইয়ূব হোসেন নামে ওই বিএনপি কর্মী হাসপাতালের বেডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়লেও ঘটনার চারদিন অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত বাঘারপাড়া থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। বরং উল্টো হামলাকারীদের সাথে পুলিশের দহরমমহরম গড়ে উঠেছে বলে ভূক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
সন্ত্রাসী হামলার শিকার যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আইয়ুব হোসেন বলেন, একই গ্রামের রাসেল শেখ, মাহমুদ শেখ, সোহেল শেখ, টোকন শেখ, বাদন শেখসহ আরও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিগত সরকারের আমল থেকে তারা তাদের পরিবারের ওপর নানাভাবে অত্যাচার চালিয়ে আসছে। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত এসব সন্ত্রাসীরা গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভূত্থানের পর এলাকা ছেড়ে চলে যায়। সম্প্রতি থানা পুলিশের নিষ্ক্রিয়তার কারণে এলাকায় ফিরে নিজেরা সংগঠিত হওয়ার চেষ্টা করতে থাকে। এ বিষয়ে বিএনপি হোসেনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী প্রতিবাদ করলে তারা তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা গত ৯ ডিসেম্বর সশস্ত্র অবস্থায় কৃষ্ণনগর গ্রামে আইয়ুব আলীর বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করে। তবে ওই সময়ে তিনি বাড়ি না থাকায় ওইদিন রক্ষা পেলেও পরদিন ১০ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭ টার দিকে কৃষ্ণনগর দিঘিরপাড়ে পেয়ে বেধড়ক কুপিয়ে জখম করে। এসময় সন্ত্রাসীদের উপুর্যপরি ছুরিকাঘাতে আইয়ুব আলী ঘটনাস্থলে মৃতপ্রায় পড়ে থাকলে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমান ওই হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন
এদিকে এ ঘটনার পর পরদিন ১১ ডিসেম্বের আইয়ুব আলীর ছেলে সুজন হোসেন চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বাঘারপাড়া থানায় এজাহার দাখিল করেন। তবে এখনও পর্যন্ত মামলাটি রেকর্ড করেনি বাঘারপাড়া থানা পুলিশ।
মামলার বাদী সুজন হোসেন বলেন, আসামীরা তার পিতাকে মেরে ফেলার জন্য কুপিয়ে জখম করলেও বাঘারপাড়া থানার ওসি মামলা নিচ্ছেন না। যেকারণে আসামীরা এখনও এলাকায় বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
এদিকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় বিএনপি কর্মী জখম হলেও সেই ঘটনায় পুলিশ মামলা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিএনপি নেতারা। এ বিষয়ে রায়পুর ই্উনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুস সালাস বলেন, বাঘারপাড়া থানার ওসির সীমাহিন নিষ্ক্রিয়তার কারণে এলাকায় আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্তদের আনাগোনা বেড়েছে। তারা ফের সংগঠিত হয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। তিনি বলেন, প্রশাসন এমন ভূমিকায় থাকলে বিএনপি নেতাকর্মীরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবেনা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বাঘারপাড়া থানার ওসি আব্দুল আলীম। তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে পুলিশের মামলা নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই।