বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে নানা ধর্মীয় ও সামাজিক আয়োজনের মধ্য দিয়ে অর্ধশতাধিক গীর্জা ও চার্চে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসব বড়দিন উদযাপিত হয়েছে।
উৎসব ঘিরে বুধবার রাত ১২টায় জগৎ প্রতিপালক প্রভু যীশুর জন্মদিনে কেক কাটা ও আতশ বাজি পোড়ানোর মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা। এরপর বিশেষ প্রার্থনা করেন খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা।
বাড়তি আনন্দ যোগ হয় যীশুকে স্মরণ করে নানা সংগীত পরিবেশনে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গভীর রাত অবধি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে ছিল আনন্দ-উচ্ছ্বাস, প্রার্থনা ও মিলনমেলার আবহ। নেচে গেয়ে বড় দিনের উৎসেব মেতে ওঠেন সবাই। সবার মুখে একই ধ্বনি-“শুভ বড় দিন, হ্যাপি মেরী ক্রিসমাস”।
আরও পড়ুন .. .. যশোরে তিনটিতে প্রার্থী বদল বিএনপির, ৯ বঞ্চিতও নিলেন মনোনয়নপত্র ‘বিদ্রোহীর’ শঙ্কা!
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোরের সবচেয়ে বড় খ্রিস্টান পল্লী শিমুলিয়া, সদর উপজেলার খড়কি, অভয়নগরের রাজঘাটসহ অন্যান্য খ্রিস্টান পল্লীর চার্চগুলোতে গভীর রাত অবধি চলে নানা উৎসব ও আনুষ্ঠানিতকা।
সকালে আয়োজন করা হয় বিশেষ প্রার্থনা। এছাড়া বাড়িতে বাড়িতে চলছে নানা আয়োজন। সকলের মুখে শান্তির বাণী। এ সময় যিশু খ্রিস্টের জন্ম, ত্যাগ ও মানবকল্যাণের বাণী তুলে ধরে শান্তি, সম্প্রীতি ও ভালোবাসার আহ্বান জানানো হয়। ঝলমলে আলোকসজ্জায় সজ্জিত গির্জা প্রাঙ্গনে বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ ও শিশুদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
যশোরের ফাদার নিপু স্যামুয়েল হালদার জানায়, খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে উপাদেয় খাবার রান্না, ক্রিসমাস ট্রি সাজানো ও আলোকসজ্জা করা হয়। শিশুদের মধ্যে বিতরণ করা হয় উপহার।
গির্জাগুলোকে সাজানো হয়। উৎসব নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার বলেন, ‘বিভিন্ন গির্জা পরিদর্শন করেছি আমরা।
সেই সঙ্গে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।’
