বাংলার ভোর ডেস্ক
যশোর উপশহরের বি ব্লকের একটি বাড়িতে গুলি বর্ষণের ঘটনায় কোতয়াালি থানায় মামলা হযেছে। গুলিতে আহত বি ১১৫ নং বাড়ির নাসরিন আক্তার বিলকিস ও মৃত শওকত আলীর ছেলে সাজ্জাদ হোসেন রুপম (৩০) শনিবার ১৭ আগস্ট গভীর রাতে কোতয়ালি থানায় মামলা করেন। মামলায় ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত নামা আরো ৫/৬ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলো যশোর সদরের বিরামপুর ভাটাপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে মামুন (৩০) উপশহর ডি ১২০ নং বাড়ির মনির উদ্দিনের ছেলে হাবিবুর রহমান টমাস (৩২) একই এলাকার সি ২৮৯ নং বাড়ির মঞ্জুর আলমের ছেলে মুনসুর আলম (৪২) ও উপশহর সি ২৬৫ নং বাড়ির আতাউর রহমানের ছেলে খান আরিফুজ্জামান সবুজ (৩২)।
মামলায় সাজ্জাদ হোসেন রুপম বলেনে, আসামিদের স্বভাব চরিত্র ভালো না। আসামিরা এলাকায় খুন জখম মারপিট চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। আমি একটি বেসরকারি কুরিয়ারে চাকরি করি। পাশাপাশি উপশহর বাজারে রায়হান ফ্যাসান নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে আসামিরা আমাকে বিভিন্নভাবে মারপিটসহ ক্ষয়ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে। ১৪ আগস্ট দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় অর্থাৎ ১৫ আগস্ট রাতে বিব্লক বাজারে যায় আমার দোকানে চুরি ডাকাতি হচ্ছে কিনা দেখতে।
আমি দোকান দেখে এরশাদ ওরফে টারজানের দোকান থেকে বিস্কুট কিনে বাসার দিকে যেতে থাকি। আসামিরা আমাকে একা দেখে মারপিটের জন্য ধাওয়া করে। আমি দৌঁড়ে বাড়ি চলে যায়।
রাত আনুমানিক ২টা ১০ মিনিটের দিকে আসামিরা বাড়ির সামনের পাকা রাস্তার উপর থেকে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একতলা বাড়ির জানালা দিয়ে ২ রাউন্ড গুলি করে।
গুলি জানালার কাচ ভেদ করে ঘুমিয়ে থাকা আমার মা নাসরিন আক্তার বিলকিসের পেটে লাগে।
এতে তিনি গুরুত্বর আহত হন। গুলির শব্দ শুনে এলাকাবাসি এগিয়ে আসলে আসামিরা মোটরসাইকেলে দ্রুত চলে যায়। আমার মাকে এলাকাবাসির সহযোগিতায় ২৫০ শয্যার যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।