কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা
কেশবপুর সরকারি পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘ ১২ বছর পরে নাম ফিরে পেলো শহীদ জিয়া ছাত্রাবাস। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে রোববার ছাত্রাবাসের মুছে দেয়া নাম পুনরায় লিখেন। এ সময় বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষসহ শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। নাম ফলক বিহীন ওই ছাত্রাবাসে দীর্ঘদিন ধরে এতিম শিশুরা বসবাস করছেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালে নির্মিত ওই ছাত্রাবাসের নাম দেয়া হয় শহীদ জিয়া ছাত্রাবাস। পরে ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ সরকার আমলে ছাত্রাবাসের নামফলক তুলে ফেলা হয় এবং উদ্বোধন ফলক ভেঙ্গে ফেলা হয়। ওই সময় সভাপতি ছিলেন আওয়ামীলীগ সরকারের সাবেক হুইপ আব্দুল ওহাব।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ফারুক আহম্মেদ বলেন, ২০১২ সালে ১৯ মার্চ পাইলট স্কুলে আমার নিয়োগ হওয়ার পরে আমি ছাত্রাবাসে টিনের সাইনবোর্ড টাঙানো দেখেছি কিন্তু মাস খানেক পর হুট করে একদিন দেখলাম সাইনবোর্ড নাই। তখন আমাদের বহিস্কৃত পিয়ন আমজেদ-২ এর কাছে জানতে চাইলে বল্লো স্যার আমিও চার/পাঁচ দিন ধরে দেখছি না।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের বর্তমান অধ্যক্ষ আছাদুজ্জামান বলেন, আমি যোগদানের পর ওই ছাত্রাবাসের নাম ফলক দেখিনি।
রেজুলেশনে নাম থাকায় সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ ভাই ছাত্রাবাসের নাম পুনরায় লেখার পরামর্শ দেন। আজাদ ভাইয়ের পরামর্শে রোববার ছাত্রাবাসের নাম পুনরায় লেখা হয়েছে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল হোসেন আজাদ বলেন, অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে ছাত্রাবাসের নামফলক মুছে ফেলা হয়েছিলো যেটা শোভনীয় হয়নি। যারা করেছেন তাদের প্রতি ঘৃণা জানাই।