বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক খুলনা বিভাগ অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বলেছেন, ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর তারেক রহমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক শক্তিকে একত্রিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে। ঠিক যেভাবে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর তার প্রয়াত পিতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানও এমন সংকট মুহূর্তে সমগ্র জাতিকে সংহতি প্রকাশের জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। এই সংহতির মাধ্যমে সেদিন তিনি মুক্তি লাভ করেছিলেন। সশস্ত্র বাহিনী ও সাধারণ জনতার সংহতির মাধ্যমে ক্যান্টনমেন্ট থেকে সেদিন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে মুক্ত করেছিলেন ষড়যন্ত্রকারীদের হাত থেকে।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শুক্রবার যশোর জেলা বিএনপি আয়োজিত র্যালি পূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
এখনো দেশের রাজনীতিতে যে সংকট বিরাজ করছে, এ থেকে উত্তরণের পথ হচ্ছে গণতন্ত্রকামী সকল রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে এক হতে হবে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল প্রমুখ। আলোচনা সভা পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।
পরে অধ্যাপক নার্গিস বেগম এবং অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের নেতৃত্বে বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে একটি র্যালি দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে চৌরাস্তা মোড়, আর এন রোড হয়ে মণিহার এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল বারী রবু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য অ্যাড. মো. ইসহক, আব্দুস সালাম আজাদ, মারুফুল ইসলাম, অ্যাড. হাজী আনিছুর রহমান মুকুল, কাজী আজম, নগর বিএনপির সভাপতি রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুল্লুক চাঁদ, সাধারণ সম্পাদক এহসানুল হক সেতু, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি রাশিদা রহমান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌসী বেগম প্রমুখ।
