ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের দেহাংশ শনাক্ত করতে তার পরিবারকে কলকাতায় ডাকা হলেও ভিসা জটিলতায় যেতে পারছেন না তারা। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে সংসদ সদস্য আনারের কন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন এ তথ্য জানান।
ডরিন বলেন, গত ২৮ মে কলকাতার নিউটাউনের সঞ্জীভা গার্ডেনের সেই ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে আমার বাবার দেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই খণ্ডিতাংশ আমার বাবার দেহাংশ কিনা তা নিশ্চিত করতে আমাকে ও আমার চাচা আবেদ আলীকে কলকাতায় ডেকেছিলেন ডিবি পুলিশের প্রধান হারুন অর রশিদ।
তিনি আরো বলেন, আমার চাচা আবেদ আলীর ভিসা প্রস্তুত থাকলেও আমার ভিসা হাতে না পাওয়ায় ভারতে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আজ বিকালে আমি ঢাকায় গিয়ে ডিবি পুলিশ প্রধান হারুন অর রশিদসহ ভারতীয় ভিসা সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করব।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনার গেদে সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে ওঠেন তিনি।
পরদিন ডাক্তার দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ছিলেন আনোয়ারুল আজিম।
এরপর গত ২২ মে খবর পাওয়া যায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে সংসদ সদস্য আনার খুন হয়েছেন। সবশেষ গত ২৮ মে বিকেলে ওই ভবনের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে এমপি আনারের দেহের খণ্ডিতাংশ উদ্ধার হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।