এস এম জালাল
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সম্ভাব্য প্রার্থীদের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও নড়েচড়ে বসেছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা বসে নেয়। তারা দলীয় হাইকমাণ্ডের দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি জনগণের আস্থা অর্জনে তৎপর রয়েছেন। তাদেরই একজন যশোর-৬ (কেশবপুর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়য়ের সাবেক ছাত্রনেতা অমলেন্দু দাস অপু।
কেশবপুরে দলের একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ায় অমেলন্দু দাস অপুর তৎপরতাও বেড়েছে। সার্বক্ষণিক নেতাকর্মীদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। অংশ নিচ্ছেন ওয়ার্ড, ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সাংগঠনিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও মানবিক নানা অনুষ্ঠানে। তৃণমূলের মানুষের কাছে নিজের ও দলের অবস্থান তুলে ধরছেন। দলের নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখের সাথী হিসেবে নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন। যশোরে বিএনপির মনোয়ান প্রত্যাশীদের মধ্যে তিনি একমাত্র ভিন্ন ধর্মের অনুসারী। সামাজিক, ধর্মীয় ও মানবিক নানা অনুষ্ঠানে যোগদানের কারণে কেশবপুরে তার আনুসারী ও ভক্ত রয়েছে অনেক। এবার অপুকে ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন তার অনুসারীরা। নেতাকর্মীরা মনে করছেন, ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে অমলেন্দু দাস অপুকে মনোনয়ন দিলে বিএনপির পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষের বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে ধানের শীষ।
জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমেলন্দু দাস অপু বলেন, ১৯৮৫ সালে থেকে দলের জন্য কাজ করছি। কখনও আদর্শচ্যুত হইনি। ছাত্রদল, যুবদল ও বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। দলের প্রতি আস্থা, ভালবাসা, বিশ্বাস ও আনুগত্যে কোন কমতি নেই। দলের প্রতিটি আদেশ, নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছি।
তিনি বলেন, বিএনপির খুলনা বিভাগী সংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের পরামর্শে ফ্যাসিবাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে কেশবপুরে দলের বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে কাজ করেছি। জনগণের ভোটের অধিকার, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু বলেন, তারুণ্যের অহংকার আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। তার বার্তা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে কাজ করছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে থেকেছি। কেশবপুরের সর্বস্তরের মানুষ আমাকে পছন্দ করে। বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে রাজপথে ছিলাম, আছি, থাকবো।
অমলেন্দু দাস অপু বলেন, দলীয় মনোনয়ন ব্যাপারে আশাবাদী ও উচ্ছ্বসিত। কেশবপুর উপজেলার সাধারণ ভোটারদের বিশ্বাস আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন পেলে দলমত নির্বিশেষে সবাই তাকে ভোট দিবে। বিএনপির ৩৯ বছরের রাজনীতির ফল স্বরুপ দল আমাকে মনোনয়ন দেবে। আমি কেশবপুরের সন্তান। কেশবপুরের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আমার নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। আমি সব সময় নেতাকর্মীদের পাশে দাঁড়িয়েছি। উপজেলা জুড়ে আমার ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে। আমি জনগণের সাথে আছি, জনগণ আমার সাথে আছে।
অপু বলেন, দল আমাকে মনোনয়ন দিলে কোনো বিভেদ থাকবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে ধানের শীষকে বিজয়ী করবে। আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পেলে বিপুল ভোটে বিজয়ী হব বলে আশাবাদী।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাস অপু ১৯৮৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলে হাত ধরে রাজনীতি শুরু করেন। ১৯৮৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের (রানা-গৌতম) কমিটির সহসাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের (সোহেল-নাদিম) কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। অমলেন্দু দাস অপু ছাত্রদলের কেন্দ্রী (রিজভী-ইলিয়াস) কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি যুবদলের কেন্দ্রীয় (আব্বাস-গয়েশ্বর) কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও যশোর জেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির নির্বাহী কমিটির সম্মানিত সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।