কপিলমুনি সংবাদদাতা
কপিলমুনি হাসপাতাল ঘিরে রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধুর স্মৃতি রক্ষার্থে এমপি রশিদুজ্জামান কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন। হাসপাতালের চলমান কাজ পরিদর্শনে এসে তিনি এ নির্দেশনা দেন। নির্দেশনার পরদিন হতে কার্যক্রম শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা।
জানা গেছে, সর্ব দক্ষিণের জনপদ পাইকগাছা উপজেলার মধ্য অন্যতম রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু নির্মিত কপিলমুনি হাসপাতালটি স্মৃতি হয়ে গৌরবের সাথে দাঁড়িয়ে রযেছে। যার মূল ভবনটির ভিতরের মেঝেতে বসানো রয়েছে মারবেলের টাইলস। কিন্ত সম্প্রতি হাসপাতাল উন্নয়নে চলমান কাজের মধ্যে দিয়ে মূল ভবনের মেঝে উচু করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু সেখানে নিয়োজিত শ্রমিকরা হাসপাতালের মেঝেতে বসানো মারবেলের টাইলস না উঠিয়ে বালু দিয়ে ভরাট করে ঢালাই দেয়।
বিষয়টি জানতে পেরে এমপি রশীদুজ্জামান হাসপাতাল পরিদর্শনে আসেন। বিষয়টি দেখে তিনিও ভীষণ ভাবে মর্মাহত হন। সাথে সাথে ঠিকাদার সহ নির্মাণ কাজের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের রায় সাহেব বিনোদ বিহারী সাধু নির্মিত ভবনটির মেঝের মারবেলের টাইস উত্তোলন পূর্বক তা সুরক্ষায় জন্য কঠোর নির্দেশ দেন। সাথে সাথে কপিলমুনি হাসপাতাল থেকে রায় সাহেবের পুরাতন নিদর্শন খচিত নানা চিহ্ন যেন কোন ভাবে বিনষ্ট না হয় সে বিষয়ে সকলকে খেয়াল রাখার জন্য পরামর্শ দেন।
এ সময় তার সাথে ছিলেন, পাইকগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি পুলিশিং কমিটির সভাপতি সাধন কুমার ভদ্র, কপিলমুনি কে কে এসপির সাধারণ সম্পাদক এম বুলবুল আহমেদ, কপিলমুনি বণিক সমিতির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব এম মাহমুদ আসলাম, কপিলমুনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবাল হোসেন খোকন, কোষাধ্যক্ষ বিধান চন্দ্র ভদ্র, প্রভাষক কামাল হোসেন, কৃষেন্দু দত্ত, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান মোল্ল্যা, তৈয়বুর হোসেন রকি ও সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।