বাংলা ভোর প্রতিবেদক
কর্মী সমাবেশকে কেন্দ্র করে নেতা-কর্মীদের ঢল নামে যশোর ঈদগাহ ময়াদানে। সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা মিছিল-স্লোগানে মুখররিত হয়ে উঠে মাঠ। সকাল আটার আগে ভরে যার সমাবেশস্থল। তবে মিছিল-স্লোগানে ছিলে না স্থানী কোন ব্যক্তির পক্ষে স্লোগান। ছিল না বিশেষ কোন ব্যক্তির প্লাকার্ড, ব্যানার। যশোর জেলা ৬ টি আসনের সম্ভাব প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমার্থকরা ময়দানে উপস্থিত হলেও ওই নেতার পক্ষে সমাবেশ কোন স্লোগান দিতে দেখা যায়নি। ফলে সমাবেশ ঘিরে নিজেদেও মধ্যে কোন দ্বন্দ্বে সৃষ্টি হয়নি। এ কারণে কর্মী সমাবেশ রুপ নেয় জনসমাবেশে। সকাল নয় নাগাদ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ঈদগাহ ময়দানসহ জজকোট মোড়। আশপাশের কয়েকটি সড়কসহ ফুটপাত একাকার হয়ে য়ায় নেতা-কর্মীরা। মাঠের বাহিরে জায়গা না পেয়ে রাস্তায় বসে পড়েন।
অতিথিতে দেখো গেছে বিএনপি-জাপা-আওয়ামী লীগের সমাবেশ ঘিরে বেশ উত্তেজানর সৃষ্ঠি হয়। অনেক ক্ষেত্রে ঘটে হাতা-হাতি ও রক্তপাতের ঘটনা। মঞ্চের সামনের জায়গা দখল নিয়ে সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। থেমে থেমে চলে ব্যক্তি বিশেষ স্লোগান। তবে জামায়াতের এ সমাবেশে এমন ঘটনা দেখা যায়নি।
চাচড়াঁ এলাকার বাসিন্দ পল্লী চিকিৎসাক ফিরোজ আহমেদ বলেন, জামায়াতে বিশেষ কোন নেতা নেই। যে তার পক্ষে স্লোগান দিতে হবে। দলের সকলেই কর্মী, আবার সকলেই নেতা। ফলে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় না। কি ভাবে সম্ভাব এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যাকে নেতা বানানো হয় সকলেই তার কথা শোনে। কে কখন নেতা হবে, সে নিজেও জানতে পারে না। সকল কর্মীকে যে ভাবে যোগ্য করে তোলার জন্য উদ্ধতন দায়িত্বশীলরা কাজ করে থাকেন। এখানে ক্ষমতা বা অর্থেও প্রভাব দেখানোর সুয়োগ নেই। এ দলের নেতার প্রধান শন্তি হয় তার সততা,দায়িত্বশীলতা ও যোগ্যতা।
যশোর জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য অ্যাড. গাজী এনামুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের ফলে ১৬ বছর ধরে আমরা সভা-সমাবেশ করতে পারিনি। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের মধ্যদিয়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। দেশের মানুষ ফ্যাসিবাদের কবল থেকে মুক্তি পেয়েছে। দীর্ঘদিন পর এভাবে সমাবেশ করতে পেরে ভালো লাগছে। সমাবেশ করতে পেরে উচ্ছ্বাসিত জামায়াতের নেতাকর্মীরা। কোনো ধরনের বাধা-বিপত্তি ছাড়াই দীর্ঘ সময় পর কর্মী সম্মেলনে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করে উৎফুল্ল।