বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের নিজেরাই নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং কাজের প্রতি বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা নিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে, আমরাই শ্রেষ্ঠ। তিনি শিক্ষা ও কর্মজীবনে সাফল্যের জন্য আত্ম-নিয়ন্ত্রণ, কাজকে ভালোবাসা এবং সমালোচনাকে গুরুত্ব না দেয়ার আহ্বান জানান।
শনিবার দুপুরে যশোর জেলা স্কুল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এই মন্তব্য করেন।
জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, আমরা আসলে কী হতে চাই সেই লক্ষ্য স্থির করা জরুরি। কাজ যে ধর্ম, বর্ণ থেকেই আসুক না কেন, আমাদের কাজ দিয়েই প্রমাণ করতে হবে তুমি শ্রেষ্ঠ। তিনি বর্তমান সমাজের একটি কঠিন বাস্তবতাকে তুলে ধরে বলেন, আমাদের দেশের বাস্তবতা হচ্ছে কোনো রাজনৈতিক নেতা যদি কোনো প্রতিষ্ঠানে সন্তান ভর্তি করাতে চান, তাহলে তিনি মেধার চেয়ে ক্ষমতা ব্যবহার করেন বেশি। যে সন্তান জানে তার বাবা টাকা দিয়ে শিক্ষককে কিনতে পারে, সে সন্তানের আর লেখা পড়া হয় না। তাই আমাদের কাজটাকে ভালোবাসতে হবে।
তিনি ভুল করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করে বলেন, যারা কাজ করে তাদের কাজের ভুল হয়। যারা সমালোচনা করে তারা কোনো কাজ করে না। যে কাজ করে না সে কখনও ভুল করে না। আর যে ভুল করে না, সে কখনও কাজও করে না। ভুল প্রেমে পড়ার মানে হলো, পরবর্তীতে একটি বিশুদ্ধ প্রেমে পড়া। আমরা একটু ভিন্ন চিন্তা ভাবনা করতে পারি, দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করলে অনেক সমস্যার সমাধান সহজে করা যায়।
অনুষ্ঠানে এসএসসি পরীক্ষায় অসাধারণ ফলাফলের জন্য ১৮২ জন এ প্লাস প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। এছাড়া বৃত্তিপ্রাপ্ত ৩৫ জন শিক্ষার্থীকে মেডেল পরিয়ে দেয়া হয়। যার মধ্যে ১১ জন ট্যালেন্টপুল বৃত্তিপ্রাপ্ত। প্রধান অতিথি নিজে এই কৃতি শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল ইসলাম। আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোর জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক নজরুল ইসলাম খান এবং অভিভাবক তরিকুল ইসলাম।
বিদায়ী ছাত্রদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, শেখ মুশফিক মানজুর, নওফেল ইসলাম প্রিয় ও মিনহাজুর রহমান শিহাব। তারা তাদের শিক্ষাজীবনের অভিজ্ঞতা ও ভবিষ্যতের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। অনুষ্ঠান সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন, জিলা স্কুলের সিনিয়র শিক্ষক আনিছুর রহমান।

