সাকিবুর রহমান ডলার, কালীগঞ্জ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে তালিকায় নাম থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের ঢেউটিন না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম ঋতু তার এলাকার দুটি হতদরিদ্র পরিবারকে ঢেউটিন না দিয়ে তার পছন্দের লোকদের বিতরণ করেছেন বলে অভিযোগ।
জানা যায়, গেলো আম্ফান ঝড়ের সময়ে ওই ইউনিয়নের বেশ কিছু মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সে সময়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ক্ষতিগ্রস্থ হতদরিদ্রদের জন্য ঢেউটিন বরাদ্দ আসে। কিন্তু চেয়ারম্যান ঋতু তালিকায় অন্তর্ভুক্তদের মধ্যে ঢেউটিন না দিয়ে পছন্দের ব্যক্তিদের মাঝে বিতরণ করেন। এ ছাড়াও টিন বিতরণের সময়ে হতদরিদ্রদের প্রাপ্য টিনের থেকে ২ পিস করে কম দিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের ধলা দাদপুর গ্রামের বাবলু মন্ডল ও দাদপুর গ্রামের আব্দুর মহাম্মদ আলীর নাম তালিকায় থাকলেও তারা ঢেউটিন পাননি। এ ছাড়াও অভিযোগ রয়েছে টিন বিতরনের আগে ওই চেয়ারম্যানের ভাই কোরবান আলী অফিস খরচের কথা বলে অনেকের কাছে পাঁচ হাজার করে টাকা চেয়েছিল। কিন্তু ওই টাকা না দিতে পারায় তাদের ভাগ্যে টিন জোটেনি।
কালীগঞ্জ উপজেলা পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২০২২-২৩ অর্থ বছরে ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় ৩০ টি পরিবারের জন্য দুই বান করে ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হয়। সেই সাথেই তাদের ঘর বাধা মেরামত খরচের জন্য বান প্রতি ৩ হাজার টাকা এবং দুই বানে ছয় হাজার টাকার চেক দেয়া হয়। কিন্তু ওই টিন এবং টাকার চেক বিতরণে ব্যাপক অনিয়মসহ স্বজনপ্রীতি করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগিদের অভিযোগ।
ওই ইউনিয়নের বালিয়াডাঙ্গা ত্রিমহনী পূর্বপাড়ার রেখা রানী, মিলন দাস ও ফারুক হোসেন জানান, তাদের দুই বান অর্থাৎ ১৬ পিস করে টিন দেয়ার কথা। কিন্তু দুই পিস টিন কম দিয়ে ১৪ পিচ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও সরকারিভাবে ঢেউটিনের সাথে ঘর মেরামতের জন্য ৬ হাজার টাকার চেক দিলেও চেয়ারম্যানের ভাই কোরবান আলী তা নিয়ে নেয়। দাদপুর গ্রামের হতদরিদ্র আলী কদর বলেন, ওই চেকের খরচের টাকা না পাওয়াতে এখনো তার ঘরে টিন ছাউনি দিতে পারেননি। তার মত আরও অনেকের নিকট থেকেই কোরবান আলী চেক নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
এ নিয়ে চেক ও খরচের টাকা চাওয়ার বিষয়টি জানতে কোরবান আলীর সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান, তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগগুলি সত্য নহে।
টিন বিতরনে অনিয়মের বিষয়গুলি জানতে চাইলে চেয়ারম্যান ঋতু সাংবাদিকদের জানান, এসব এক বছর আগের কথা, এখন কেন আবার উঠে আসছে। তবে, টিন কম দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি নিজ হাতেই সবাইকে টিন বুঝিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি করেন। আর চেকের বিষয়ে বলেন, যারা টিন পায়নি তারাই মিথ্যা কথা ছড়াচ্ছে।
শিরোনাম:
- একই সঙ্গে দুই কলেজের অধ্যক্ষ জাহিদুলের নজিরবিহীন দুর্নীতি
- অভয়নগরকে হারিয়ে ফাইনালে কালীগঞ্জ
- অফিস সহকারী পদে হেলালের এমপিওভুক্তি নিয়ে লুকোচুরি
- শিক্ষার মান উন্নয়নে ভালো শিক্ষক দরকার
- উপশহর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের শিক্ষা সফর অনুষ্ঠিত
- ‘বিজ্ঞানমনস্ক প্রজন্ম গড়তে সবাইকে এক হয়ে কাজ করতে হবে’
- যশোরে নতুন আঙ্গিকে ব্রাদার্স ফার্নিচার শো রুম উদ্বোধন
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস