কালীগঞ্জ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে ছাগলের মারধর করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে লতিফুল ইসলাম (৪০) নামে এক রাইসমিল শ্রমিকের অণ্ডকোষ ধরে টান দিয়ে ছিড়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে লাকি খাতুন নামের এক নারীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার আলাইপুর গ্রামে। আহত লতিফুল কালীগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আর কালীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই রাতেই মিন্টু হোসেন নাকে পুলিশের ভুয়া ওসি পরিচয়দানকারী ব্যক্তিকে আটক করেছেন।
আহত লতিফুল উপজেলার আলাইপুর গ্রামের বাসিন্দা এবং অভিযুক্ত লাকি খাতুন একই গ্রামের আব্দুল বাতেনের কন্যা। তিনি বিয়ের পর থেকে বাবার বাড়িতেই থাকেন।
লতিফুল ইসলামের স্ত্রী কাকলী খাতুন জানান, তার একটি ছাগল ছাড়া পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিবেশী আব্দুল বাতেনের চাতালে যায়। এ সময় চাতাল মালিকের কন্যা লাকি খাতুন ছাগলটিকে মারাত্মকভাবে আঘাত করলে চাতালের ওপরই পড়ে থাকে। এরপর কেন ছাগলটি এভাবে মারা হলো আমার স্বামী জানতে গেলে প্রথমে তাকে গালিগালাজ ও পরে মারধর করে। একপর্যায়ে আমার স্বামীর অণ্ডকোষ ধরে টান দিলে মারাত্মক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। পরে তাকে কালীগঞ্জ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক ক্ষতস্থানে ৫ টি সেলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আলাইপুর গ্রামের আরাফাত হোসেন জানান, লাকি খাতুন তাদের গ্রামের মেয়ে। কয়েক দফা ছাড়াছাড়ির পর কিছুদিন পূর্বে যশোরে একজনের সাথে বিয়ে করেছে। গ্রামের লোকজনের সঙ্গে গল্প করে তার বর্তমান স্বামী পুলিশের ওসি। শুধু তাই নয়, এই দাপটে সকলের সাথে অশোভন আচরণও করে। তিনি বলেন, আমি আমার পাওনা টাকা চাওয়ায় কিছুদিন আগে আমাকেও মারধর করে। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদে সালিশ বিচার বসায়। তিনি আরও বলেন, এর আগে তাদের গ্রামের মৃত আলতাফ হোসেনের ছেলে তারিফুল ইসলামকেও মারধর করেছিল লাকি। এরপর গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে জিহাদকে মারধর করে। সর্বশেষ লাকির মারাত্মক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন হতদরিদ্র লতিফুল ইসলাম।
কালীগঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম হাওলাদার জানান, এ ব্যাপারে আহতের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য তহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। গতরাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। ওই মহিলার স্বামী মিন্টুকে রাতেই থানায় আনা হয়েছিল।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তার বাড়ি যশোরের পুলিশ লাইন এলাকায়। তিনি নিজেকে একজন কাঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। পুলিশ লাকি খাতুনকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে।