বাংলার ভোর প্রতিবেদক
এনবিআর বিলুপ্ত করে প্রমিত রাজস্ব অধ্যাদেশ বাতিল এবং টেকসই রাজস্ব সংস্কারের দাবিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউজে দ্বিতীয় দিনের মত ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এ কলম বিরতি পালিত হয়। এর আগে বুধবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কলম বিরতি পালন হয় বেনাপোল কাস্টমসে। কলম বিরতির কারণে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও আওতামুক্ত হওয়ায় এ পথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক আছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে আমদানি পণ্য নিয়ে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছে ৪৫০টি ট্রাক।
কাস্টমস ও ট্যাক্স বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সমন্বয়ে গঠিত ‘এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ’ এর ডাকে দেশব্যাপি কর্মসূচির অংশ হিসেবে বেনাপোল বন্দরের কাস্টমস সদস্যরা এই কর্মসূচি পালন করে। আগামী শনিবার শেষ হবে তিন দিনের কলম বিরতি। এদিকে পর পর দুই দিনের কলম বিরতিতে বেনাপোল বন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের আমদানি, রফতানি বাণিজ্য অচলাবস্থা নেমে এসেছে। দ্রুত সমাধানে বাণিজ্যিক পরিস্থিতি স্বাভাবিকের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে গড়ে ৫০০ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি ও ২৫০ ট্রাকের মত পণ্য ভারতে রফতানি হয়ে থাকে। কলম বিরতির কারণে সব শেষ বুধবার ভারত থেকে আমদানি হয়েছে ৩০৬ ট্রাক পণ্য ও রফতানি হয়েছে ১৬৭ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের পণ্য। আমদানি পণ্য থেকে দুই দিনে প্রায় ২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় কমেছে।
বেনাপোল আমদানি, রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে শিল্পকরকারখানার জরুরি পণ্য আমদানি, রফতানি হয়ে থাকে। তবে কাস্টমসের কলম বিরতির কারণে পণ্য সময় মত খালাস নিতে পারছি না। অর্থনৈতিক ক্ষতির শিকার হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানান, কলম বিরতির চলাকালে কাস্টমস অফিসে বসছে না। এতে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে না পারায় পণ্য খালাসের পরিমাণ কমে এসেছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ জানান, কর্মবিরতির কারণে পণ্য খালাস ও আমদানি, রফতানি কমে এসেছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মেহেরুল্লাহ জানান, দ্রুত সমাধানের মাধ্যমে বানিজ্যিত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সংশিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ রাখছি। এদিকে গত বুধবার থেকে চলমান কলম বিরতি নিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের মতামত প্রকাশ করলেও কাস্টমস সদস্যরা ক্যামেরা বা মৌখিক ভাবে কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।