বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শিক্ষাবোর্ডের অধীনে যশোর সদর উপজেলার একটি এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের ভুলে ৪৮জন পরীক্ষার্থীর রসায়ন বিষয়ে ফেল দেখানো হয়েছিল। তিনদিন পর সংশোধিত ফলাফলে তাদের অনেকেই জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে। যশোর সদর উপজেলার পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া ৩২৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের ৪৮ শিক্ষার্থী ব্যবহারিক পরীক্ষার ফল যোগ না হওয়ায় তাদেরকে ফেল দেখানো হয়েছিল। পরবর্তীতে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর হলে রোববার সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়। সংশোধিত ফলে তারা রসায়ন বিষয়ে উত্তীর্ণ হওয়ায় সামগ্রিক ফলাফলেও কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছে।
তাদেরই একজন সাড়াপোল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী মিয়ারাজ ইসলাম। তিনি জানান, জিপিএ-৫ হবে এমন আত্মবিশ্বাস ছিল আমার। কিন্তু বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) ঘোষিত ফলাফলে ১০টি বিষয়ের মধ্যে আটটিতে জিপিএ-৫, একটিতে এ গ্রেড ও রসায়ন বিষয়ে অকৃতকার্য হিসেবে ফল আসে। আজ (রোববার) শিক্ষাবোর্ডের ফল সংশোধনীতে জিপিএ-৫ এসেছে। এই কয়দিন তার বাবা-মাসহ পরিবারের কারো খাওয়া-ঘুম ছিলো না। বাড়ির সবার মন খারাপ ছিলো। এখন জিপিএ ৫ পেয়ে তার বাড়ির সবাই খুব খুশি’।
জানা যায়, যশোর সদরের পুলেরহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে এ বছর ছয়টি বিদ্যালয়ের ৩২৯ শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল ৪৮জন। বিজ্ঞান বিভাগের সব শিক্ষার্থীকে অকৃতকার্য দেখানো হয়। ফল বিশ্লেষণ করে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা দেখেন, রসায়ন বিষয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। এরপর সব স্কুল থেকে কেন্দ্র সচিবের কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন কেন্দ্র সচিব মো. খান জাহান আলী ফল সংশোধনের জন্যে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কাছে চিঠি দেন। বোর্ডে যাচাই করে দেখা যায় ওই শিক্ষার্থীদের রসায়ন বিষয়ে ব্যবহারিক নম্বর যোগ হয়নি। এরপর কেন্দ্র থেকে পাঠানো ব্যবহারিক বিষয়ের নম্বর যোগ করে রোববার সংশোধিত ফলাফল ঘোষণা করা হয়।
কেন্দ্র সচিব খান জাহান আলী বলেন, ‘কি কারণে বিজ্ঞান বিভাগের সবার রসায়ন বিষয়ে অকৃতকার্য এলো তা আমরা বুঝতে পারিনি। ফল সংশোধনের ব্যবস্থা নেয়ার জন্যে আবেদন করার পর আজ শিক্ষাবোর্ড গিয়ে ৪৮ জনের ফলাফল সংশোধন করা হয়।
এ বিষয়ে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবদুল মতিন সাংবাদিকদের বলেন, কেন্দ্র থেকে রসায়ন বিষয়ের প্রাকটিক্যাল (ব্যবহারিক) পরীক্ষার নম্বর পাঠানো হয়নি। এজন্যে ৪৮ শিক্ষার্থীর ফলাফল অসম্পূর্ণ ছিল। যে কারণে রসায়ন বিষয়ে সবার অকৃতকার্য ফল আসে। কেন্দ্রের ভুলের কারণে এমনটা হয়েছে। আজ তাদের ফল সংশোধন করে দেয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের এই ভুল বা অবহেলার জন্যে কেন্দ্রের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।