কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা
প্রকৃত মুদি ব্যবসায়ী নন, নেই স্থায়ী দোকানঘর অথচ কাগজ-কলমে মুদি-মনোহরি ব্যবসায়ী এমন ব্যক্তিদের টিসিবির ডিলার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। মূলত স্বজনপ্রীতি, সুপারিশ, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার এবং উপঢৌকনের বিনিময়ে প্রকৃত ব্যবসায়ীদের বাদ দিয়ে অব্যবসায়ীদের হাতে লাইসেন্স প্রদান করা হয়েছে। এতে করে ক্ষুব্ধ প্রকৃত ব্যবসায়ীরা ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী ছাত্ররা। নিয়ম অনুযায়ী স্বশরীরে আবেদনকৃত ডিলারদের দোকান এবং গুদাম পরিদর্শনের কথা থাকলেও অফিসে বসে পছন্দের ব্যক্তিদের ডিলার নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে এমনটাই মনে হয়েছে বিভিন্ন দোকান দেখে।
কিন্তু প্রকৃত মুদি দোকানদার, বর্ণিত ঠিকানায় দোকান এবং কমপক্ষে দোকানে ৩-৪ মে: টন পণ্যসামগ্রি গুদামজাত করার মতো জায়গা আছে কিনা টিসিবির নীতিমালায় এমন শর্ত উল্লেখ থাকলেও কমপক্ষে ৩৮ জন ডিলার এর মধ্যে ২৫ জন আছেন যারা প্রকৃত মুদি ব্যবসায়ী নন এবং কারও কারও গুদামঘর থাকলে ও তাদের অধিকাংশরই নেই কোন দোকান। এদের বেশির ভাগই সার, কেউ কীটনাশক বিক্রেতা, কেউ রাজনৈতিক নেতা। শুধুমাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে নানামুখি তদবিরে ডিলার নিয়োগ পেয়েছেন। সম্প্রতি এরকম কিছু ডিলার চিহ্নিত করা হয়েছে যাদের অধিকাংশরই কোন দোকান নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মেসার্স আশরাফ আলী ও তার ছেলে মাহাবুবুর রহমান একই পরিপারের দুইটি ডিলারশিপ। তারদের মূল ব্যবসা ঠিকাদার, সার ও গ্যাস, মেসার্স সজিব এন্টারপ্রাইজ, প্রো: অমল দাস। প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা মিলে সেটা একটা বাসা । যেখানে ভাড়া থাকেন সঞ্জয়। চিংড়া বাজারের অপূর্ব কুমার দত্ত ও অনুজ কুমার দত্ত নামে সহদর ভাইয়ের নামে দুটি ডিলারশিপ। নেই কোন মুদি মনোহরি দোকান। তারা সার, সিমেন্ট, টিন, কীটনাশক ব্যবসায়ী। প্রকৃত মুদি ব্যবসায়ী না হয়েও তিনি টিসিবির লাইসেন্স পেয়েছেন।
মুদি ব্যবসায়ী না হয়েও ডিলারশিপের তালিকায় রয়েছে সাতবাড়িয়া বাজারের সার ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ, সুমন সাহা, আব্দুল বারী।