কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা
যশোরের কেশবপুরে দুই যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পাঁজিয়া বাজারে পাঁজিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি মহির উদ্দিন বিশ্বাস ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে মহির উদ্দিন বিশ্বাস বলেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ লাভলু ও তার ভাই উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক এবং সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারের সখ্যতায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। তাদের প্রধান কাজ ছিল বিএনপি ও জামাতের লোকদের বহুমুখী নির্যাতন করা। তারা ইউনিয়নের তিন শতাধিক মানুষের নামে মামলা দিয়েছে, যা আজও চলমান। ডিবি পুলিশ ও থানা পুলিশ দ্বারা হয়রানি করায় অনেকে বাড়িতে থাকতে পারেনি। ২০১৭ ও ২০১৮ সালে লাখ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করেছিল।
তিনি আরও বলেন, পাঁজিয়া ইউনিয়নে তারা ভয় দেখিয়ে অনেকের মাছের ঘের জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। এ ছাড়া বন্যা আসলে তাদের ঘেরের পাশে অন্যদের ছোট ঘেরে গ্যাস ট্যাবলেট দিয়ে মাছ বের করে নিয়েছে। এসব বিষয়ে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করলেও কোন সুরহা না হওয়ায় তারা স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের জানায়। পরে ঘের কমিটি নিয়ে মিটিং করলে নাজমুল হোসেন উপস্থিত না হওয়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা কমিটির উপর তাদের ক্ষতিপূরণ এবং যারা নাজমুলের কাছে টাকা পাবেন তাদের বিষয়টির ভার দিয়ে আসেন। এসব নিয়ে নাজমুলের পিতা ও স্ত্রী ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে একটি অভিযোগ করে, যা স¤পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব অপকর্ম বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ওই এলাকার রায়হান রানা, নির্মল মন্ডল, নিত্য মন্ডলসহ ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগের বিষয়ে যুবলীগ নেতা নাজমুল হোসেন বলেন, তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে, তা স¤পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পাঁজিয়া বিএনপি নেতা মহির উদ্দীন বিশ্বাস, তার ভাইপো রানাসহ আরও অনেকেই আমাদের ঘের দখলের চেষ্টা করে এবং ৪০ লাখ টাকা চাঁদা চেয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে সম্প্রতি থানায় লিখিত অভিযোগ করলে তারা এ ধরনের মিথ্যা তথ্য ছড়াচ্ছে।