কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে কোটচাঁদপুর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দেখা মিলছে না। ঠিক মতো অফিস করছেন না তারা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সেবা প্রত্যাশী সাধারণ জনগণ। কার্যালয় ছাড়ার এক মাসের অধিক সময় পেরিয়ে গেলেও তাদের কেউ এখনো কার্যালয়ে ফেরেননি। চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ থাকায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা।
সরেজমিনে বুধবার সকালে উপজেলার বলুহর ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায় চেয়ারম্যানের কক্ষ তালাবদ্ধ। একই অবস্থা অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদগুলোরও। তবে দুই একটা ইউনিয়ন পরিষদে উদ্যোক্তারা উপস্থিত থাকলেও চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সেবা প্রার্থীদের। তবে কিছু কিছু ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আত্মগোপনে থেকে জনসাধারনের সেবা দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে।
ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে জন্ম-নিবন্ধন, নাগরিক সনদ ও ট্রেড লাইসেন্স করতে আসা বেশ কয়েকজন সকাল ৯ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন তারপরও চেয়ারম্যানের দেখা পাচ্ছেন না। এসময় স্থানীয় জনসাধারণ অভিযোগ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থেকে জনপ্রতিনিধিদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
লোকজন প্রতিদিন এভাবে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে অপেক্ষা করেও সেবা পাচ্ছেন না। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে প্রতিবেদককে জানান, চলমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলেই ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে সেবা প্রার্থীদের পুরোপুরি সেবা দিবেন তারা।
বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি অনুকূলে না। প্রশাসনিক কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এ বিষয় কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো সাধারণ জনগণ যদি ইউনিয়ন পরিষদের প্রকৃত সেবা না পেয়ে ভোগান্তির শিকার হন তাহলে বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।