কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে সমাধান নামে এক এনজিও কর্মীর বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের ৬ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
কোটচাঁদপুর হাসপাতাল রোডস্থ সমাধান এনজিও কার্যালয়ের ওই অফিসের সাবেক কর্মী কৌশলে ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে সঞ্চয় বাবদ বিভিন্ন সময় তালসার গ্রামের ১৭ জন গ্রাহকের প্রায় ৬ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন। ওই ঘটনায় ২৭ অক্টোবর সোমবার সকালে বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা সমাধান এনজিও কার্যারয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
জানা গেছে, যশোর জেলার মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দা শিমুল হোসেন
ভুক্তভোগী শাহানাজ জানান আমার বাড়ি উপজেলার তালসার গ্রামে, আমাদের পাড়ায় সমিতি খুলবে বলে ২ মাস আগে শাখা ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান ও কর্মী শিমুল হোসেন যান। তারা পাড়ার ১৫ থেকে ২০ মহিলা ডেকে নতুন সমিতি খোলার প্রস্তাব দেন। সমিতির নিয়ম মোতাবেক প্রতি লাখে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় ও ভর্তি ফি বাবদ আমি মোট ৫১৬২০ টাকা জমা দিই।
আজ ঋণ নিতে এসে শুনি সেই কর্মী টাকা নিয়ে পালিয়েছে। অপর ভুক্তভোগী সাহারা খাতুন জানান, ঋণ নেয়ার জন্য ৫১৬২০ টাকা জমা দিয়ে আজ ঋণ নিতে এসে জানতে পারছি যে ওই কর্মী নাকি চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন দুই মাস আগে।
একই অভিযোগ করেন তানিয়া, শিপালি, রোকেয়া, ছায়মা, মান্নান, শারমিন, তারাম, ওসমান, বিজলী, নাজমা, শ্রীরাম, খাইরুল ও বন্যা খাতুন। শ্রীরাম জানান গতকালও আমি টাকা দেয়ার আগে অফিসে এসে দেখি অফিসের সামনে টাঙ্গানো তালিকায় শিমুল এর নাম আছে আজ ওই তালিকা ম্যানেজার সরিয়ে ফেলে বলছেন সে নাকি দুই মাস আগে চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন।
আমাদের টাকা মেরে দেয়ার সাথে ম্যানেজার জড়িত আছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। তার এমন বক্তব্যের সতত্য পাওয়া যায় শাখা ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমানের কথায়। তিনি জানান আগে থেকে ওই তালিকা ঝুলানো ছিলো সরাতে মনে নেই, যা আজ সরিয়েছি। আর আমি সমিতি গঠনের জন্য কর্মী শিমুলের সাথে গিয়েছিলাম ৩ মাস আগে। এর মধ্যে শিমুল ২ মাস হলো চাকরি ছেড়ে চলে গেছেন, তাছাড়া সদস্যরা ম্যানেজার ও পাশ বই বাদেই টাকা জমা দিয়েছেন, যে কারণে ওই টাকায় দায় আমাদের নয়। সমাধানের আরএমও নুরুল হোসেন জানান আমি ঘটনা শুনে চৌগাছা থেকে এখানে এসেছি। সবার কথা শুনলাম, অভিযুক্ত শিমুল হোসেন গতবছরের ১ আগস্ট ওই শাখায় যোগদান করেন এবং গত ৩০ সেপ্টেম্বর চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। তার দায় দেনাও ইত্যিমধ্যে পরিশোধ করা হয়েছে। আমরা সদস্যদের সমস্যার কথা শুনেছি। প্রধান কার্যালয়ে কথাও বলেছি, শিমুলের কাছ থেকে ওই টাকা আদায় করে সদস্যদের মাঝে ফিরিয়ে দেয়ার জন্য সর্ব্বোচ চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান। অভিযুক্ত শিমুল হোসেনের মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

