কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
কোটচাঁদপুরে দাম বেড়েছে সবজিসহ মাছ-মাংসের। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকলেও দাম চড়া। কিছুতেই কমছে না সবজি, মাছ ও মাংসের দাম। সবজির দাম বেড়ে যাওয়ায় কিনতে হিমসিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ। মাছ, মাংস খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে স্বপ্নের মতো, সেখানে নিম্ন আয়ের মানুষ দুমুঠো ডাল ভাত খেয়ে জীবনযাপন করতে নাভিশ্বাস উঠছে।
বৃহস্পতিবার সকালে পৌর শহরের চৌগাছা স্ট্যান্ড ও মেইনবাজার কাঁচামাল আড়তে এ দৃশ্য দেখে যায়।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির অজুহাতে আবারও বেড়েছে সকল পণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধান কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে মুরগির বাজারে। মুরগির দাম কেজি প্রতি কমেছে ১০/১৫ টাকা।
ব্রয়লার মুরগি ১৮৫/১৯০টাকা, লেয়ার মুরগি ৩০০/৩২০ টাকা, সোনালি ২৪০/২৫০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০/৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭০০টাকা, ছাগলের মাংস ১০০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে দেশি মাছের বাজারে কেজিতে ৩০/৫০ টাকা দাম বেড়েছে। রুই বড়গুলো ৫০০/৫২০ টাকা কেজি, ছোট রুই ৩২০ টাকা কেজি, গ্রাস কার্প ৩০০টাকা, পাবদা ৪০০/৪২০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ২০০/২২০টাকা, তেলাপিয়া ২৬০/২৮০টাকা, বাটা ছোট সাইজ ২৪০/২৬০টাকা, বাগদা চিংড়ি ৮০০/৯০০ টাকা, ইলিশ বড়গুলো ১৮০০টাকা, মিডিয়াম সাইজের ইলিশ ১৪০০টাকা, ছোট ইলিশ ৯০০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া পিয়াজ-১০০/১১০টাকা, রসুন-২০০/২২০টাকা, কাঁচা ঝাল ৪০০টাকা, শুকনা ঝাল-৪০০টাকা, প্রতি কেজি গোল বেগুন ১২০ টাকা, লম্বা বেগুন ৯০ টাকা, ঢ্যাঁড়শ ৬০, বরবটি ৪০/৫০, পালংশাক২৫টাকা আটি, পুইশাক ২৫টাকা আটি, শাকের ডাটা ২৫টাকা আটি, ঘেটকোল ১৫টাকা আটি, লাল ও সাদা শাক ২০টাকা আটি, কচুর মুখি ৭০/৮০টাকা, ফুলকপি ৮০টাকা, বাঁধাকপি ৬০টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০ টাকা, পেঁপে ৩০টাকা কেজি, চাল কুমড়ার জালি ৪০টাকা পিস, শসা ৫০/৬০ টাকা, মিঠেপুল্লা ৪০টাকা, পুইশাকের মেচড়ি ১০০টাকা কেজি, কাঁকরোল ৮০টাকা কেজি, গাজর ১৮০টাকা কেজি, টমেটো ১৪০টাকা কেজি, উচতে ৯০/১০০ টাকা কেজি, ওল ৭০টাকা কেজি, জলপাই ৭০টাকা কেজি, উসি ৫০টাকা কেজি, ঝিঙ্গা ৬০টাকা কেজি, কাগজি লেবু ১৫টাকা হালি, মুলা ৬০, কচুর লতি ৬০/৮০, পটোল ৫৫/৬০ টাকা, আলু ৫৫/৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
বাজার করতে আসা ক্রেতারা বলছেন, হাজার টাকায় তিন চারটার বেশি পণ্য মিলছে না।
এ অবস্থায় দিনমজুর নিম্ন আয়ের মানুষ তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করতে হচ্ছে। সিন্ডিকেটের কারণে মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে। জবাবদিহিতা করার কেউ নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তেমন চোখে পড়ার মতো মনিটরিং করা হচ্ছে না। ইজিবাইক চালক কাজল বলেন, গরীব মানুষের সবচেয়ে বড় জ্বালা। যা ইনকাম করি ডাল ভাত খেয়ে বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। মাছ সপ্তাহে ও মাংস তো মাসে ১দিন কিনতে হিমসিম খাই। ঘরে ছোট ছেলে-মেয়ে তারাও নিয়মিত ডাল দিয়ে খেতে চায় না। মাছ- মাংসের জন্য বায়না ধরে।
ক্রেতারা অনেকেই বলেন, এখন কেন সিণ্ডিকেট হবে? এসব সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ খুব কষ্ট পাচ্ছে।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, লাগাতার বৈরি আবহাওয়ার কারণে সবজির দাম বেড়েছে। মূলত অতিবৃষ্টি প্রভাব পড়েছে সবজির বাজারে।
মাছের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বৃষ্টির ফলে বেশকিছু অঞ্চলে চাষিদের মাছ ভেসে গেছে। ফলে বাজারে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম কিছুটা বেড়ে গেছে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে। বাজার মনিটরিংয়ের সময় তাদেরকে জরিমানা ও সতর্ক করা হয় তারপরও কোনো প্রকার অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।