বেনাপোল প্রতিনিধি
কোর্ট ফি ও ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প সংকট দীর্ঘদিন ধরে চলছে দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোলে। প্রায়ই পাওয়া যায় না স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি। আর এ সংকটের কারণে রাজস্ব আদায়ে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাগ্রহীতারা।
পর্যাপ্ত লাইসেন্সধারী ভেন্ডার না থাকায় এ সমস্যা প্রকট হয়েছে বেনাপোলে। দুই-একজন ভেন্ডার থাকলেও তারা স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফির কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মূল্য বাড়িয়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে ভেন্ডার লাইসেন্সধারীরা বিক্রির ওপর কমিশন পেলেও তারা ১০০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প বিক্রি করছেন ১৩০ টাকা থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। আর ২০ টাকার কোর্ট ফি বিক্রি করছেন ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন ক্রেতারা।
এদিকে দেশের সর্ববৃহত্তম এই স্থলবন্দরে স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফির ব্যাপক চাহিদা থাকলেও পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বেশ কিছু অসাধু ব্যবসায়ী জাল ননজুডিশিয়াল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রি করছেন। এতে সরকার লাখ লাখ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে। ইতিমধ্যে বন্দর এলাকা থেকে জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফিসহ তিন প্রতারককে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, বন্দর এলাকায় ভেন্ডার লাইসেন্সধারীর সংখ্যা বৃদ্ধি করলে স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফির সংকট কেটে যাবে। পাশাপাশি প্রতারকদের প্রতারণা থেকেও রক্ষা পাবেন ব্যবসায়ী ও সেবাগ্রহীতারা।
বেনাপোল বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি আমিনুর রহমান আনু বলেন, বেনাপোল বন্দর এলাকায় জালস্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রির প্রবণতা বেড়ে গেছে। এটা রোধ করা অতি জরুরি। বন্দর এলাকায় দুই-এক জন ভেন্ডার আছেন, যাদের কোনো অফিসঘর নেই। ফুটপথে বসে অথবা কাস্টম হাউজের সামনে আইল্যান্ডের ওপর বসে স্ট্যাম্প ও কোর্ট ফি বিক্রি করে থাকেন।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল বলেন, জাল স্ট্যাম্প ও কোর্ট বিক্রির সঙ্গে জড়িতদের সঠিক তথ্য অনুসন্ধান করে খুব শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version