বাংলার ভোর প্রতিবেদক:
খুলনায় এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা মোতালেব শিকদারকে গুলিবিদ্ধের ঘটনার পর যশোর সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে বিজিবি।

এ ঘটনায় জড়িতরা যেন বাংলাদেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারে সে লক্ষ্যেই বেনাপোল সীমান্তে ব্যাপক নজরদারি ও তল্লাশি কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। সোমবার গুলিবিদ্ধের খবরের পর থেকেই সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি। একই সঙ্গে সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়াও যে সকল সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেই সকল সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ মেইন পিলার ১৮/১ এস থেকে ৪৭/৩ এস পর্যন্ত প্রায় ৭০.২৭৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কড়া তল্লাশি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বাড়ানো হয়েছে টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি।

সীমান্তে অতিরিক্ত বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। যে সব সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই সেই সকল সীমান্ত সিলগালা করা হয়েছে। বেনাপোল আইসিপি, আমড়াখালি, সাদীপুর, রঘুনাথপুর, ঘিবা, শিকারপুর, শালকোনা, কাশিপুর, মাসিলা, আন্দুলিয়া ও পাঁচপিসতলা এলাকাসহ সীমান্ত সংলগ্ন বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। গুলিবিদ্ধের ঘটনা গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এসব এলাকায় যানবাহন ও সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশি অব্যাহত রয়েছে।

এ ব্যাপারে ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল্লাহ সিদ্দিকী সোমবার দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, ‘মোতালেব সিকদাদের উপর হামলার ঘটনায় জড়িত আসামিরা যাতে কোনোভাবেই সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতে পালাতে না পারে, সেজন্য বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে তল্লাশি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।’

প্রসঙ্গত, খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সহযোগী সংগঠন জাতীয় শ্রমিক শক্তির বিভাগীয় কমিটির প্রতিনিধি মো. মোতালেব শিকদারকে (৪০) দুর্বৃত্তরা গুলি করেছে। সোমবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নগরীর সোনাডাঙ্গা বেসরকারি গাজী মেডিকেলের সামনে তাকে গুলি করা হয়। গুলিবিদ্ধ মোতালেবকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। গুলি তার মাথায় বিদ্ধ হয়েছে।

Share.
Exit mobile version