বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া নিমতলা বাজারে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০০ বস্তা চাল লুটের ঘটনায় বাদী হাসান আলী বিএনপির আহবায়ক খায়রুজ্জামান মিনুকে ১ নম্বর আসামি করে ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও শতাধিক জনের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ মামলা থেকে ১ নম্বর আসামি খায়রুজ্জামান মিনুর নাম বাদ দেন। এতে করে মামলার বাদী অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয় বিএনপি নেতা হান্টু জানান, হাসান আলীর গুদাম থেকে চাল লুটের ঘটনায় মামলার এজাহার থেকে ১ নম্বর আসামি খায়রুজ্জামান মিনুর বাদ দেয়ায় এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মিনুর বিভিন্ন অপকর্মের কারণে নাভারণ ইউনিয়ন বিএনপির রাজনীতি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। তিনি পুনরায় মামলার এজহারে খায়রুজ্জামান মিনুর নাম অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী হাসান আলীর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের অব্যাহত হুমকি ও পুলিশের চাপে আমি খুব আতংকে এবং জীবনের ঝুঁকিতে আছি। যে কোন সময় আমার উপর হামলা হতে পারে। আমি বিষয়ে আর কিছু বলব না বলেই মুঠোফোন কেটে দেন তিনি।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইব্রাহীম আলী মামলার এজাহার থেকে বিএনপি নেতা খায়রুজ্জামান মিনুর নাম বাদ দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, ভুক্তভোগী হাসান আলীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম, খায়রুজ্জামান মিনু ঘটনাস্থলে ছিলেন কি না? হাসান আলী তখন বলেন, খায়রুজ্জামান ঘটনাস্থলে ছিলেন না। এ জন্য পরে হাসান আলীই খায়রুজ্জামানের নাম বাদ দিয়েছেন। তবে পুলিশের তদন্তে মিনু জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেলে পুনরায় অভিযোগপত্রে তার নাম যুক্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, চাঁদা না দেয়ায় গত সোমবার বিকেলের দিকে দেশি অস্ত্র নিয়ে বিএনপির আহবায়ক মিনুর নেতৃত্বে তার শতাধিক লোকজন উপজেলার হাড়িয়া নিমতলা বাজারে অবস্থিত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির গুদামের তালা ভেঙ্গে ৩০০ বস্তা চাল ও নগদ টাকা লুট এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। এরপর হাসান আলী বাদী হয়ে বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মামলা দায়ের করেন।