বাংলার ভোর প্রতিবেদক
রাতে গরু চুরি হয়। ভোরে কাঁদার মধ্যে দিয়ে নিয়ে যাওয়া গরুর পায়ের দাগ অনুসরণ করে চোর ধরলেন এক বিধবা নারী। মঙ্গলবার সকালে যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে এলাকাবাসী চোরকে পুলিশে সোর্পদ করে।
জানা যায়, চুড়ামনকাটির ইসলামপুর শেখপাড়ার মৃত আবু তাহেরের স্ত্রী মমতাজ বেগম দীর্ঘদিন ধরে একটি গাভী পালন করেন। মমতাজ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তিনি সন্ধ্যায় তার গাভীটি গোয়ালে রেখে ঘুমাতে যান।
পরে রাত দুইটার দিকে তিনি উঠে গাভীর খাবার দিয়ে আবারও ঘুমাতে যান। এর কিছু সময় পরে গোয়ালে থাকা বাছুরের দাপাদাপির শব্দ শুনে গোয়ালে গিয়ে দেখতে পান তার গাভীটি গোয়াল ঘরে নেই। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। সন্ধ্যায় প্রবল বৃষ্টি হওয়ার কারণে গরু যে পথ দিয়ে চোরেরা নিয়ে গেছে তার পায়ের দাগ অনেকটাই দেখা যাচ্ছিলো।
এ সময় বিধবা মমতাজ কয়েকজনকে সাথে নিয়ে গরুর পায়ের দাগ ধরে এগোতে থাকেন। প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে বাগডাঙ্গা গ্রামে মহিউদ্দিনের ছেলে আশরাফুল ইসলামের বাড়ির কাছে গিয়ে পায়ের দাগ শেষ হয়।
এ সময় মমতাজ ও তার সাথে থাকা লোকজন আশেপাশে খোঁজাখুজির একপর্যায়ে আশরাফুল ইসলামের বাড়ির সাথেই বিশেষভাবে তৈরি করা একটি চোরাই গোয়াল ঘরে গাভিটি দেখতে পান। মুহূর্তেই বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে আশরাফুল ইসলাম কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে এলাকাবাসী জোটবদ্ধ হয়ে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে তাকে আটক করে।
এলাকাবাসীর হাতে আটকের পর চোর আশরাফুল ইসলাম জানান, তিনিসহ একই গ্রামের বান্নার ছেলে রিপন ও রেজাকের ছেলে ইমন মিলে গরুটি চুরি করে আনেন।
এ ব্যাপারে সাজিয়ালী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুর রউফ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় ভুক্তভোগী ওই নারীকে গরুটি বুঝে দেয়া হয়। এছাড়া অভিযুক্তকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।