মহেশপুর সংবাদদাতা
ঝিনাইদহের মহেশপুরে এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে রাশেদ শেখ (৩৮) নামে এক গরু চোরের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার এসবিকে ইউনিয়নের ভালাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাশেদ ওই গ্রামের মিঠু শেখের ছেলে। এছাড়াও গণপিটুনিতে রাজেদুল ইসলাম ও বজলুর রহমান বটু নামের আরো দুই জন আহত হয়েছেন। আহত বজলুর রহমান বটু মহেশপুর শহরের মাংস ব্যবসায়ী।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোর রাতে তিন চোর আব্দুর রাজ্জাকের গোয়াল ঘর থেকে বাছুরসহ গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় তা দেখে ফেলে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেন ওই গ্রামের তহিদুর রহমান। এসময় চোরেরা তহিদুল ইসলামকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে গরু নিয়ে পালিয়ে যান। পরে আহত তহিদুলের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তার কথা অনুযায়ী তিন চোরকে আটক করেন। আটকের পর এলাকাবাসীর গণপিটুনিতে রাশেদ শেখ ঘটনাস্থলে মারা যান।
এদিকে মহেশপুর শহরে স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে যেখানে সেখানে গরুর মাংস বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের কোন নজরদারি নেই। গরু চোরের হোতা মাংস ব্যবসায়ী বটুর বিরুদ্ধে চোরাই ও অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ রয়েছে। বটু অবৈধ পথে মাংসের ব্যবসা করে বনে গেছেন টাকার মালিক। তার রয়েছে দ্বি-তলা বাড়ি। বটুসহ অন্যান্য মাংস ব্যবসায়ীরা গোপনে চোরাই ও অসুস্থ গরু জবাই করে তা কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে বিক্রি করেন। এছাড়াও মাংস বিক্রির স্থান গুলো একেবারে অস্বাস্থ্যকর।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. আতিবুর রহমান বলেন, মাংস ব্যবসায়ীরা ভোর চারটার আগে গরু জবাই করেন সেক্ষেত্রে এতরাতে তাদের গরু কেমন সেটা আমার পক্ষে দেখভাল করা সম্ভব হয়না। এর জন্য মহেশপুর পৌরসভায় একজন নিয়োগ দেওয়া আছে।
মহেশপুর থানার ওসি তদন্ত ইসমাইল হোসেন বলেন, গরু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে রাশেদ শেখ নামের এক ব্যক্তি মৃত্যু হয়েছে। আহত দুজনকে উদ্ধার করে মহেশপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।