বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শায় পুর্ব শত্রুতার জেরে মুসা (৩০) নামের এক যুবককে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (৩১ মে) বেলা ১১ টার দিকে তিনি মারা যান। এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ মে) সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার হরিণাপোতা বাজার মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন নিহতের ভাইপো রাসেল (২০) নামের অপর একজন। নিহত রানা মুসা হরিণাপোতা গ্রামের বাসিন্দা। তার ভাইপো আহত রাসেল ওই গ্রামের ইসহাকের ছেলে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে গুরুতর আহত মুসার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে রাতেই শার্শা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।
নিহত যুবকের স্বজন ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গরু বেচা কেনা নিয়ে মুসার সাথে ৬/৭ মাসে আগে মান্দারতলা এলাকার অস্ত্র ও মাদককারবারি সিন্ডিকেটের রফিকুল, মিলন ও সুমনের সাথে দ্বন্দ ছিলো। ঘটনার দিন বিকেল ৫ টার দিকে মুসা ও ভাইপো রাসেল চা খাওয়ার জন্য হরিনাপোতা বাজার মোড়ে যায়। এ সময় রফিকুল, মিলন ও সুমনসহ আরো একদল সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে মুসাকে উপর্যুপরি কোপাতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়। এ সময় বাধা দিতে এগিয়ে গেলে ভাইপো রাসেল গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক ভাইপো রাসেলকে ভর্তি করে। মুসার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। সেখানেও অবস্থা গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হরিণাপোতা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য হানিফ জানান, মুসা মান্দারতলা বাজারে একটি চায়ের দোকান বসেছিলো। হঠাৎ দুইটি মাইক্রোবাস এসে মুসাকে এলোপাতাড়ি ভাবে দা দিয়ে কুপাতে থাকে। পরে মারা গেছে ভেবে মুসাকে ফেলে তারা চলে যায়। যাওয়ার সময় দুইটি বোমা ফাটিয়ে যায় বলে জানান ইউপি সদস্য। নাভারণ সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, গরু বেচা কেনা নিয়ে পুর্ব শত্রুতার জেরে আহত চাচা ও ভাইপোর মধ্যে মুসা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। ভাইপো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সে চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনায় শার্শা থানায় মামলা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে বলে তিনি জানান।