♦ যবিপ্রবিতে আসন পড়েছে ৪৩৩৮ শিক্ষার্থীর
বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শিক্ষার্থীদের যাতায়াত, থাকা-খাওয়ার সমস্যাসহ বিভিন্ন দুর্দশা লাঘবে চতুর্থবারের মতো গুচ্ছ পদ্ধতিতে দেশের ২৪টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে শনিবার (২৭ এপ্রিল)। এদিন অনুষ্ঠেয় ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) আসন পড়েছে ৪ হাজার ৩৩৮ জন শিক্ষার্থীর।
যবিপ্রবির জিএসটিভুক্ত সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার কো-অর্ডিনেটরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটভুক্ত ৪ হাজার ৩৩৮ জন শিক্ষার্থীর আসন পড়েছে। বিশ^বিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একাডেমিক ভবন, স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবন, মাইকেল মধুসূদন দত্ত কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার কাম একাডেমিক ভবন, ডা. এম আর খান মেডিকেল সেন্টার, টিএসসি ভবনে ‘এ’ ইউনিটভুক্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ^বিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক থাকবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেয়ার জন্য ভবনের প্রবেশমুখে বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ থাকবেন। এ ছাড়া বিশ^বিদ্যালয়ে ক্রীয়াশীল বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনও ভর্তিচ্ছু ছাত্র-ছাত্রীদের সহায়তা করবেন। তবে পরীক্ষার্থীদের যাতায়াত অবাধ ও নির্বিঘ্ন করতে বিশ^বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষার্থী ব্যতীত অন্যদের চলাচল সীমিত করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
জিএসটির ওয়েবসাইটে জানানো হয়েছে, ২৭ এপ্রিল ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের দুপুর ১২টা-১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। একইদিন আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি বিকেল ৩:৩০টা হতে ৪:৩০টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে। আর ৩ মে ‘বি’ ইউনিটে মানবিক ও ১০ মে ‘সি’ ইউনিটে বাণিজ্য বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের বেলা ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত অন্যান্য আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্নের জন্য পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগেই সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে পৌঁছানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জিএসটি গুচ্ছভুক্ত বিশ^বিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় যবিপ্রবিতে ‘এ’ ইউনিটভুক্ত ৪ হাজার ৩৩৮ জন শিক্ষার্থীর আসন পড়েছে। দেশজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ চলমান। যেহেতু শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধা অনুযায়ী নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন, সেহেতু এবার অভিভাবকদের কেন্দ্রে না আসার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। যদি কেউ আসেন, তাহলে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত তাপপ্রবাহ সংক্রান্ত যথাযথ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
তিনি আরও বলেন, পরীক্ষার ভবনসমূহে সুপেয় পানি ও প্রাথমিক চিকিৎসা সামগ্রীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সকাল ৯:৩০ থেকে ১১টা পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে যশোরের পালবাড়ি টু ক্যাম্পাস শাটল বাস সার্ভিস চালু থাকবে।
অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন আরও বলেন, ভর্তি পরীক্ষার সময় যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে কেন্দ্রসমূহে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ও পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবেন। পরীক্ষার সময় কোনো পরীক্ষার্থী বা দায়িত্বরত কেউই মুঠোফোনসহ কোনো ধরনের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কেউ ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে বা অসাধুপায় অবলম্বন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
¬উল্লেখ্য, জিএসটিভুক্ত ভর্তি পরীক্ষার আসন বিন্যাস, ফলাফলসহ অন্যান্য সকল তথ্য https://gstadmission.ac.bd ওয়েবসাইটে পাওয়া যাবে।