বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের মণিরামপুরে চিকিৎসকের প্রাইভেটকারের ধাক্কায় সাইকেল আরোহী রবিউল ইসলাম (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত লোকজন প্রাইভেট কার ভাঙচুর করে চালক-আরোহীদের পুলিশে সোপর্দ করেছে। আজ (শুক্রবার) যশোর-চুকনগর সড়কের আমিনপুরের বকুলতলায় এ ঘটনা ঘটে। তিনি নার্সারির ব্যবসা করতেন। মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) মেহেদী মাসুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘দুর্ঘটনার আগ মুহূর্তে রবিউল ইসলাম সাইকেলে চড়ে চিনাটোলা বাজার হতে আমিনপুরে বাড়িতে ফিরছিলেন। তিনি বকুলতলা মসজিদের সামনে এসে সাইকেল নিয়ে রাস্তা পার হয়ে বাড়ির দিকে যাওয়ার সময় পেছন দিক থেকে আসা একটি প্রাইভেট কার তাকে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তার ওপর ছিটকে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পান রবিউল ইসলাম। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
বিল্লাল হোসেন আরও বলেন, ‘রবিউল ইসলামকে ধাক্কা দেয়ার পরপরই প্রাইভেট কারের ভেতরে থাকা তিন আরোহী নেমে আসেন। আমরা জানতে পেরেছি, কারের ভেতরে থাকা তিনজনের মধ্যে একজন চিকিৎসক এনামুল কবির। অপর দুজন তার স্ত্রী ও ছেলে।’ শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরপরই স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে ওঠে। তখন পুলিশ এসে কারটি (ঢাকা মেট্রো ঘ-২১-৯৪১৭) ও চালককে হেফাজতে নেয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় বিশ্বাস বলেন, ‘কারের ধাক্কায় আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার পর আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, ‘জানতে পেরেছি প্রাইভেট কারটি খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের কিডনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এলামুল কবিরের। দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন।’ মণিরামপুর থানার উপপরিদর্শক কানু দত্ত বলেন, ‘ডাক্তার এনামুল কবির নিজে প্রাইভেটকার চালাচ্ছিলেন। দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে বিষয়টি মিটিয়ে নিয়েছেন।’
শ্যামকুড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন বলেন, ‘রবিউল ইসলামকে ধাক্কা দেয়া প্রাইভেট কারের মালিক খুলনা আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালের কিডনি চিকিৎসক এলামুল কবির। দুর্ঘটনার সময় তিনি গাড়িতে ছিলেন।’ তিনি বলেন, ‘রবিউল ইসলামের তিন ছেলে। ডাক্তার এনামুল কবির তাদের পাঁচ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। নিহতের স্বজনরা মামলায় যাচ্ছেন না। আমরা বিষয়টি মিটমাট করে নিয়েছি।’