বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জিল্লুর রহমান শিমুল (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার গোবিলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিমুল গোবিলা গ্রামের মোখলেছুর রহমানের ছেলে। তিনি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দাউদ হোসেনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে স্বজনদের দাবি। তারা বলছেন, চুড়ামনকাটি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুন্নার অনুসারী হিসেবে পরিচিত সন্ত্রাসী বুলবুলি ও নাঈমের নেতৃত্বে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার সাইফুর রহমান জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে জিল্লুর রহমান শিমুলের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতের স্ত্রী নাসিমা খাতুন জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে জিল্লুর রহমান শিমুলকে কুপিয়ে হত্যা করেছে এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। তাকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে যায়। তার চিৎকার শুনে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্র্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী বুলবুলি ও নাইমের নেতৃত্বে শিমুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তারা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে এলাকার বুলবুল, বিল্লাল, নাইম, সোহরাব, শিমুল ও মনিরুল তার শিমুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।
হাসপাতালে আসা স্বজনরা জানান, ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জিল্লুর রহমান শিমুল স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তার সঙ্গে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শীর্ষ সন্ত্রাসী বুলবুলির সঙ্গে বিরোধ ছিল।
সন্ত্রাসী বুলবুল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুন্নার আশির্বাদপুষ্ট। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের বিরোধের জের ধরেই শিমুলকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে যশোর ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম বলেন, তারাবি নামাজের সময় জিল্লুর রহমান শিমুলকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে মারা যান। এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার পুলিশ কাজ করছে। আমরা দ্রুতই তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।