বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের চৌগাছায় অসহায় এক বৃদ্ধার জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ওই জমিতে খুঁটি পুঁতে ঘিরে নেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদ করায় বৃদ্ধা জাহানারা বেগমের পুকুর থেকে মাছ লুট ও হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন তিনি। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগ করেছেন জাহানারা বেগম। তিনি চৌগাছা উপজেলার লস্করপুর গ্রামের সহি উদ্দিন বিশ্বাসের মেয়ে।
ষাটোর্ধ্ব নারী জাহানারা বেগম জানান, তিনি চৌগাছা উপজেলা লস্করপুর গ্রামের ৫১৬ দাগের ১ একর ৭৪ শতক জমির মধ্যে ৮৭ শতক পৈত্রিক জমি ১৯৬৯ সাল থেকে ভোগদখল করে আসছেন। চৌগাছা-ঝিকরগাছা সড়ক সংলগ্ন লম্বা পূর্ব-পশ্চিম এই জমির যাবতীয় দলিল দস্তাবেজ তার কাছে রয়েছে। ওই জমির বাকি ৮৭ শতক অংশ উত্তর পাশে মহিউদ্দিন ও রবিউল ইসলামের দখলে ছিল। রবিউল ইসলাম মারা যাবার পর তার অংশ ওয়ারিশগণ পায়। জয়নুদ্দিন ওই ওয়ারেশের একজন। তিনি ১৬.৮০ শতক অংশ পান।
জাহানারা বেগম অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর জয়নুদ্দিনসহ তার লোকজন নিয়ে জাহানারা বেগমের জমি দখলের চেষ্টা করেন। তিনি ওই ১৬.৮০ শতক জমি বিক্রির নামে জাহানারা বেগমের জমিতে খুঁটি পুঁতে দখল করেছেন। আদালতে মামলার প্রেক্ষিতে ওই জমিতে স্থিতি অবস্থা জারি রয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা জমিতে বালি ফেলে ভরাট করছেন। এর প্রতিবাদ করায় জয়নুদ্দিন ও তার দুই ছেলে জেমস ও প্রিন্সসহ তাদের লোকজন জাহানারা বেগমের পুকুর থেকে প্রায় দুই লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে গেছে। এছাড়া জমি নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে হত্যার হুমকিও দিচ্ছে। এ ঘটনায় তিনি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। মেয়ে নিয়ে জাহানারা বেগম এখন জীবনাশঙ্কায় ভুগছেন। তবে জয়নুদ্দিন দাবি করেছেন, ওই জমির মালিকানা তার। তিনি নিজের জমি ঘিরেছেন। আর আদালতের স্থিতি অবস্থার আদেশ প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন, এ ধরণের কোনো আদেশ তিনি পাননি।
চৌগাছা থানার ওসি পায়েল হোসেন জানিয়েছেন, জাহানারা বেগমের অভিযোগের ব্যাপারে একজন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।