চৌগাছা সংবাদদাতা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যালের তদন্ত সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল যশোরের চৌগাছায় পুলিশের গুলিতে পা হারানো দুই শিবির নেতার বাড়িতে গিয়ে ঘটনার তদন্ত করেছেন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তদন্ত পরিচালনাকালে গুলিতে পা হারানো দুই শিবির নেতা নারায়ণপুর গ্রামের রুহুল আমিন এবং চুটারহুদা গ্রামের ইসরাফিলের বাড়িতে গিয়ে তাদের পিতা ও মাতার সাক্ষাৎকার নেন প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাতকারে সেদিনের লোমহর্ষক ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন রুহুল আমিনের মা নাজমা বেগম এবং ইসরাফিলের পিতা আব্দুর রহমান। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের উপ-পরিচালক মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের একটি দল এ তদন্ত করছেন। এর আগে গত ২৮ আগস্ট একটি প্রতিনিধি দল ঘটনার তদন্ত করেন। মঙ্গলবার ঘটনাস্থলে ২য় বারের মতো এলাকার সাধারণ মানুষ ট্রাইব্যুনালের তদন্তকারি প্রতিনিধি দলের সামনে সাক্ষ্য দেন। এ সময় সাক্ষি ও ভুক্তভোগির স্বজনরা বলেন, পতিত সরকারের শাসন আমলে ২০১৬ সালের ৪ আগস্ট তৎকালিন চৌগাছা থানার ওসি মশিউর রহমান, সেকেন্ড অফিসার এস আই আকিক, এস আই মখলেস, এস আই আহসান, এএস আই মাজেদ হোসেন, এসআই জামাল ও তাদের সঙ্গীরা তাদেরকে মহেশপুর-চৌগাছা সড়কের টেঙ্গুরপুর মোড় থেকে কোন কারণ ছাড়াই আটক করেন। পরে রাতে তাদেরকে উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়নের বুন্দলীতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে নিয়ে দু’জনের পায়ে গুলি করেন। সেখান থেকে তাদেরকে চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক তাদের যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে ঢাকা পঙ্গুতে পাঠান।
ইসরাফিল হোসেনের ১টি ও রুহুল আমিনের ১টি পা কেটে বাদ দেয়া হয়। তারপর তাদেরকে জেলে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করেন দুই শিবির নেতা।