চৌগাছা সংবাদদাতা
যশোরের চৌগাছায় এডিস মশা বাহিত ডেঙ্গু জ্বরের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। উপজেলায় জুলাই থেকে এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে ৯১ জন। এর মধ্যে চলতি মাসের ১৫ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৫৭ জন। মৃত্যু হয়েছে ২ জনের।
চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের গত ১৫ দিনে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ১৫ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে গত ৪৮ ঘন্টায় হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ৫ জন। এ ৫ জন রোগী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর আগে জুলাই ও আগষ্ট মাসে চিকিৎস্যা নেন ১০ জন। আক্রান্তদের বেশিরভাগই চৌগাছা পৌর এলাকার বাসিন্দা।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে যারা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তারা হলেন, পৌরসভার কারিগর পাড়ার হহাবিবুল্লাহ (২২), ইছাপুর এলাকার হোসেন আলী (৩৩), কালিতলা এলাকার কামাল হোসেন (২৯), খড়িঞ্চা গ্রামের শামিম রেজা (৪৫), এবং মাজালি গ্রামের অনিক হোসেন (২৬)।
এছাড়া উপজেলার তিনটি ক্লিনিকের ল্যাবে সংরক্ষিত তথ্য সূত্রে জানা যায়, চলতি মাসের গত ১৫ দিনে ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪২ জন। এর মধ্যে নোভাএইড ক্লিনিকে শনাক্ত হয়েছে ১৫ জন, পল্লবী ক্লিনিকে ২৫ জন এবং কপোতাক্ষী ক্লিনিকে ২ জন। জুলাই ও আগস্টে তিন ক্লিনিকে রোগী শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৩ জন।
এদিকে উপজেলায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে উপজেলার ধুলিয়ানী ইউনিয়নের ধুলিয়ানী গ্রামের জহুরুল ইসলামের স্ত্রী বিউটি বেগম (৩৫)। জ্বরে আক্রান্ত হয়ে গত ২ আক্টোবর চৌগাছা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে যশোরে রেফার করেন চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক। অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া ১০ মে উপজেলায় আব্দুল হান্নান (৬৫) নামের আরও একজন মৃত্যুবরণ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুননাহার লাকি জানান, অন্য বছরগুলোতে বাইরে থেকে আক্রান্ত রোগী চৌগাছায় আসতো। এবার স্থানীয়ভাবে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। মাত্র ৪ জন ঢাকা থেকে আক্রান্ত হয়ে চৌগাছায় এসেছেন বলে জানতে পেরেছি। স্থানীয়ভাবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়াটা দুশ্চিন্তার বিষয়। যদিও পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আছে।