চৌগাছা সংবাদদাতা:
কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের অর্ধশত নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা হয়েছে চৌগাছা থানায়।
গত ২১ ডিসেম্বর চৌগাছা উপজেলার চাঁদপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সোমর আলী মামলাটি করার পর পুলিশ ৩ জনকে আটক করেসোমবার তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। আটকরা হলেন, চৌগাছা উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুজ্জামান কামরুল, নারায়ণপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি পান্নু আহম্মেদ বিশ্বাস ও সদস্য নান্নু আহম্মেদ।
মামলার অপর আসামি হলেন, চৌগাছা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বেড় গোবিন্দপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক কংশারিপুর গ্রামের শফিউর রহমান রাথিক, নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি বন্দুলিতা গ্রামের সুমন, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল করিম, ছাত্রলীল নেতা সবুজ আহম্মেদ, ফিরোজ আহম্মেদ আকরামুল, রুবেল হোসেন, মেহেদী হাসান, মিলন হোসেন, মেহেদী লিটন, সাইদুর রহমান পান্নু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, আবুল কাশেম, হাসান আলী, মামুন হোসেন, টিটো, শাহিনুর রহমান, আব্দুল হালিম, হাফিজুর রহমান, রাসেল, শামীম, সবুজ আহম্মেদ, পাভেল, ইমরান হোসেন, আজিজুর রহমান, রবিউল ইসলাম, শিপন মেম্বর, শেখ ফরিদ, তরিকুল ইসলাম, কামাল হোসেন, ইমরান হোসেন, বিপুল, জাফর আলী, রানা, টিপু সুলতান, আজাদুর রহমান খান, সোহরাব হোসেন, শরিফুল ইসলাম, শাহিন আক্তার, হেলাল ইসলাম, রুবেল, আসাদুল, তােতা বিশ্বাস, আবুল হোসেন সোহেল রানা ও জনি।
মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৪ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চৌগাছার নারায়ণপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর বাজারে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করেন। রাস্তা অবরোধ করে ওই মিছিলে তারা আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের লক্ষ্যে রাষ্ট্র বিরোধী স্লোগান দেয়।
মিছিলকারীরা লাঠি, ইট লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন করায় স্থানীয় জনমনে আতংক সৃষ্টি হয়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান।

