বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেছেন, ‘এখন সময় ঐক্যের, বিভেদের নয়। যে জনগণ আমাদের উপর আস্থা রেখেছে, তার প্রতিদান আমাদের দিতেই হবে। যে লোকটা বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত হয়েছে, কষ্ট করেছেন, সেই লোকটাকে মূল্যায়ন করতে হবে। কোন সুযোগসন্ধানীদের সুযোগ দিবেন না। আজ শনিবার বিকেলে যশোর শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে নতুন সদস্য সংগ্রহের ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
যশোর জেলা বিএনপির আয়োজিত অনুষ্ঠানে অধ্যাপক নার্গিস বেগম বলেন, ‘রাজনীতিতে কর্মীর চাইতে কেউ আপন হতে পারে না। যারা কর্মীদের মূল্যায়ন করে তারা; জনগণের নেতা হতে পারে না। আমাদের ভেতর নেতৃত্বের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে, দ্বন্দ নয়। অন্য দলে প্রার্থী খুঁজতে হয়। আর বিএনপিতে অনেক প্রার্থীর ভিড়ে বাছাই করতে হয়। আগামী নির্বাচনে দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। যাতে আমাদের দল ক্ষমতায় যেতে পারে।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নতুন সদস্য এবং সদস্য নবায়ন, এটি সঠিকভাবে করবেন। এতে আপনার দল সঠিকভাবে চলবে। এটি সঠিকভাবে করবেন না, আপনার দলও সঠিকভাবে চলবে না। তখন সুযোগসন্ধানীরা তাদের সুযোগ নেবেন। এই কাজটা দয়া করে করতে দেবেন না।’
যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবুর সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী টি এস আইয়ূব, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ মফিকুল হাসান তৃপ্তি, কেন্দ্রীয় সদস্য আবুল হোসেন আজাদ, সাবিরা নাজমুল মুন্নী, কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম, শহিদুল বারী রবু প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু। এ সময় বিএনপির জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পরে যশোরের সন্তান ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক নার্গিস বেগম নিজে ফরম সংগ্রহ করে তিনি তার সদস্য পদ নবায়ন করে উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু জানান, গত ২০ বছরে নতুন ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি। জীবনের প্রথম ভোটটি দেয়ার জন্য তারা মুখিয়ে আছেন। নতুন ভোটারদের দলের সদস্য করা না হলে তারা অন্য দলে ভিড়ে যাবেন। তবে লক্ষ্য রাখতে হবে এ সুযোগে আওয়ামী সন্ত্রাসী, দুর্নীতিবাজ, দাগি আসামিরা বিএনপিতে ঢুকে পড়তে না পারেন। যারা ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাবের প্রতি আস্থাশীলরা তারাই বিএনপির সদস্য হতে পারবেন। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর অনেক নেতাকর্মী উন্মাদ হয়ে গেছে। অনেক অপকর্ম করে নিজের ও দলের ইমেজ নষ্ট করেছে। তাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ইমেজধারি ব্যক্তিদের এই দলের সদস্যতে আনার। এই কর্মসূচির মাধ্যমে জেলায় এক লক্ষ নতুন সদস্য যোগ হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।