বাংলার ভোর প্রতিবেদক
জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনে বিশেষ ভূমিকা রাখায় সপ্তমবারের মত জেলার শ্রেষ্ঠ হয়েছে যশোরের চৌগাছা পৌরসভা। জাতীয় জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে রোববার যশোর কালেক্টরেট সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
শ্রেষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হয়েছেন বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসনে আরা তন্নী, শ্রেষ্ঠ ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা জামদিয়ার মো. আব্দুস সালাম, বন্দবিলার ওবায়দুর রহমান ও পাতিবিলার আজমিন আরা, বাঘারপাড়ার গ্রাম পুলিশ দিলিপ কুমার দাস, যশোদা সরকার ও চৌগাছার গ্রাম পুলিশ সোলাইমান হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম তাদের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন।
এর আগে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক মো. আজাহারুল ইসলাম। উদ্বোধন শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে।
পরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের অমিত্রাক্ষর সভা কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সরকারের উপ পরিচালক রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কমলেশ মজুমদার, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক অসিত কুমার সাহা, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহীদুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা অফিসার মো. মাহফুজুল হোসেন, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে স্বগত বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রসেক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, নওয়াপাড়া ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সেলিম রেজা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন, জনসংখ্যা যত তার চেয়ে নিবন্ধনের সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে সচেতনা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যেতে হবে। একজন মানুষের একবার জন্ম নিবন্ধন করা উচিৎ। অপরাধ প্রবণ ব্যক্তিরা বারবার জন্ম নিবন্ধন করে। জন্ম নিবন্ধনের সময় দায়িত্বরতদের গুরুত্ব সহকারে যাচাই বাছাই করে করা দরকার। প্রতি বছর এই দিবসটি পালন করা হয়। দিবসটির লক্ষ্য মানুষকে সচেতন করা এবং জন্ম মৃত্যু নিবন্ধনে উৎসাহী করা। সপ্তাহব্যাপি কর্মসূচি হাতে নিতে পারলে দিবসটি সম্পর্কে সর্বসাধারণকে সচেতন করা যাবে।
এদিকে, চৌগাছা পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী আবুল কাশেম বলেন, সম্মিলিত প্রচেষ্টায় চৌগাছা পৌরসভা তার সুনাম অক্ষুণ্ন রেখেছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্য ও টিকাদান বিভাগে কর্মরতরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, যার ফলশ্রুতিতে আমরা এ গৌরব অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি।
চৌগাছার পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) গুঞ্জন বিশ্বাস বলেন, অল্প কিছুদিন হলো আমি পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্ব পালন করছি। এই সময় দেখেছি পৌরসভার সকল কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। তাদের এ আন্তরিকতা বজায় থাকলে আমার বিশ্বাস চৌগাছা পৌরসভা দেশের অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হবে।