বাংলার ভোর প্রতিবেদক
অ্যাডভোকেট জ্যোতির্ময় রায় মৈত্রের লিজ ও বর্গা দেয়া জমি দখল নিয়ে আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে চৌগাছার কাদবিলা গ্রাম। এর মধ্যে ফ্যাসিবাদের দোসর সালাম ও তার লোকজন বিএনপি নেতা ডাবলুর উপর ভর করে দখলবাজিতে মত্ত হয়েছেন। শনিবার প্রেসক্লাব যশোরে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন জমির বর্গাচাষি ও লিজ গ্রহিতারা।
লিখিত বক্তব্যে কাদবিলা গ্রামের বর্গাচাষি আবুল কাশেম জানান, কাদবিলা গ্রামের অ্যাড. জ্যোতির্ময় রায় মৈত্র পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৭০ বিঘা জমির মালিক। তিনি গ্রামে না থাকায় তার জমি গ্রামের ৩০ পরিবার বর্গা ও লিজ নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।
তিনি বলেন, এ জমির উপর সাবেক সচিব সুব্রত রায় মৈত্র ও তার দোসর সালামের কুদৃষ্টি পড়ে। ২০১১ সালে সুব্রত রায় মৈত্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের লিজ ও বর্গা নেয়া জমি ছেড়ে দিতে বলেন। একপর্যায়ে সন্ত্রাসী বাহিনী অনেক জমি দখল করে কোটি টাকার গাছ কেটে নেয়। ওই বছর জমি দখলে বাধা দিয়ে সালাম-ডাবলু সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জীবন দেয় আব্দুর রহিম ও মোমিন। এছাড়া এ সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিবাদের সরকারের পতন হওয়ার পর সালাম বিএনপি নেতা ডাবলুর ঘাড়ে ভর করে আবারও জমি দখলে মত্ত হয়েছেন। গত ২৪ ডিসেম্বর আবুল হোসেন ও তার তিন ছেলেকে কুপিয়ে জখম করেছে সালাম-ডাবলু বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় মামলা করায় চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়েছেন সালাম-ডাবলু বাহিনীর সদস্যরা। মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত ওই পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছেন সালাম-ডাবলু বাহিনীর সদস্যরা। যে কোন সময় আবারও হামলার শিকার হতে পারে জমির লিজ ও বর্গাচাষিরা। গ্রামের শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে তিনি প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, অ্যাডভোকেট গোপীনাথ রায় চৌধুরী, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান বাবুল, জমির লিজ ও বর্গা চাষী আবুল হোসেন, মোতালেব হোসেন, মশিয়ার রহমান, আতিয়ার রহমান, আলমগীর হোসেন, হাফিজুর রহমান, ইউসুফ আলী প্রমুখ।