বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর অ্যাকাডেমির শীতকালীন রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার যশোরে একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে এই কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। তিনি কুচকাওয়াজ পরিদর্শন ও সালাম গ্রহণ করেন। পরে গ্র্যাজুয়েটিং অফিসারদের মধ্যে পদক ও ফ্লাইং ব্যাজ বিতরণ করেন।
বিমান বাহিনীর ৮৭তম বাফা কোর্সসহ বিভিন্ন কোর্সের ৮ জন নারী কর্মকর্তাসহ ৪০ জন অফিসার ক্যাডেট কমিশন লাভ করেন। কুচকাওয়াজের নেতৃত্ব দেন তানজিম উল ইসলাম। এবার ‘সোর্ড অব অনার’ ট্রফি লাভ করেন নাফীস রাফীদ। এছাড়া মোঃ সাদিক ইসলাম তামীম ‘বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান ট্রফি’, জান্নাতুল ইশরাত সাবা ‘কমান্ড্যান্টস্ ট্রফি’, জান্নাতুল ইশরাত সাবা ‘বিমান বাহিনী প্রধানের ট্রফি’ ও বীর উত্তম বদরুল আলম ‘চ্যাম্পিয়ন স্কোয়াড্রন ট্রফি’ লাভ করেন।
বিমান বাহিনী প্রধান তার বক্তব্যে মহান মুক্তিযুদ্ধে শাহাদতবরণকারী ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের অবদান স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী সামরিক চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষন ব্যবস্থাকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক প্রশিক্ষণ বিমান ও সিমুলেটর। একাডেমি থেকে ইতোমধ্যে ৩০ জন বিদেশি ফ্লাইট ক্যাডেট প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করায় দেশের সুনাম আরও বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বাহিনীর প্রধান বলেন, বিমানবাহিনীর অপারেশনের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। গত দেড় বছরের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিমানবাহিনী বিমানবন্দর সচল রাখার মধ্য দিয়ে গুরুদায়িত্ব পালন করেছে। তিনি আরও বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালনেও প্রস্তুত বিমান বাহিনী। দেশের যেকোনও প্রয়োজনে বিমান বাহিনীর সদস্যদের প্রস্তুত থাকার আহ্বানও জানান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান। শেষে অনুষ্ঠিত হয় বিমান বাহিনীর বিভিন্ন বিমানের ফ্লাইপাস্ট, অ্যারোবেটিক প্রদর্শনী এবং প্যারাট্রুপারদের হেলিকপ্টার থেকে প্যারা জাম্পিং। অনুষ্ঠানে কূটনৈতিক মিশনের সদস্যবৃন্দ, সামরিক-বেসামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং নবীন কর্মকর্তাদের অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

