জীবননগর সংবাদদাতা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে গত কয়েক দিনের শৈত্যপ্রবাহের কারণে দেশব্যাপি কমেছে তাপমাত্রা। তারই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের হিমেল হাওয়া আর তার সঙ্গে যোগ হওয়া ঘন কুয়াশার কারণে জেঁকে বসেছে শীত।

এতে দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। শীত থেকে বাঁচতে ছুটছেন  ফুটপাতসহ গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে। এতে করে শীত কাপড়ের দোকানগুলোতে বেড়েছে গরম কাপড়ের বেচাকেনা।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ফুটপাত থেকে বাস স্ট্যান্ড চত্বর শাহীন ক্লাবের পেছনে পুরাতন পোশাকের দোকানে বিক্রির ধুম পড়েছে। বিশেষ করে জ্যাকেট, সোয়েটার, ক্যাপ, মোজাসহ শীতের হরেক রকম পোশাক বেচাকেনায় ব্যস্ত ব্যবসায়ীরা। এসব দোকান থেকে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকার মধ্যে নানা ধরনের শীতের পোশাক কিনছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

ফুটপাতে শীতের কাপড় বিক্রি করা হায়দার আলী বলেন, হতদরিদ্র থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন এসব রকমারি পোশাকের ক্রেতা। এখানে স্বল্প আয়ের লোকজন সাধ ও সাধ্যের সমন্বয়ে বিভিন্ন ধরনের পোশাক পাচ্ছেন। তাই কেনাকাটাও বেশি হচ্ছে।

কাপড় বিক্রেতা নাইম বলেন, ধীরে ধীরে শীত আরও বাড়বে। তাই আমরা বিভিন্ন ধরনের বাহারি রঙের শীতের কাপড় সাজিয়ে রাখছি। আমাদের এখানে শিশু থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সের মানুষের শীতের পোশাক রয়েছে। প্রতিদিন ১৫-২০ হাজার টাকার বেচাবিক্রি হচ্ছে। শীতের তীব্রতা যেমন অনেকের কষ্টের কারণ তেমনি আমাদের মতো ব্যবসায়ীদের কাছে আশীর্বাদ। কারণ শুরুতে ধার কর্জ করে ব্যবসা শুরু করেছি।

পুরাতন কাপড় কিনতে আসা ভ্যানচালক সালাম বলেন, প্রচণ্ড শীত পড়েছে। ভালো পোশাক কেনার ক্ষমতা আমাদের নেই তাই পুরাতন পোশাকের দোকানে এসেছি। ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের জন্য পোশাক কিনেছি মোটামুটি ৫০০ টাকার মধ্যেও দুইজনের হয়ে গেছে।

পুরাতন পোশাক কিনতে আসা সালাম মিয়া বলেন, আমি একটি ছোট এনজিওতে চাকরি করি। নতুন পোশাক কেনার সক্ষমতা নেই তাই পুরাতন পোশাকের দোকানে এসেছি। দাম একটু বেশি তারপরও সাধ্যের মধ্য পোশাক কেনা যাচ্ছে।

Share.
Exit mobile version