বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের ঝিকরগাছায় পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী সোহানা খাতুন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলার বায়সা-চাঁদপুর বাজারে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে বায়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসা। ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে বক্তব্য দেন নিহত সোহানার পিতা মো. আব্দুল জলিল। তিনি বলেন, ‘আমার মেয়ের হত্যাকারীর ফাঁসি চাই। তাহলেই আমার আত্মা শান্তি পাবে। আর যেন কোনো বাবা এভাবে তার সন্তানকে না হারায়।’ মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. কবীর হোসেন।
বক্তব্য দেন অভিভাবক সদস্য মো. রবিউল ইসলাম মিলন, শিক্ষক মো. মনিরুজ্জামান ও মো. আতিয়ার রহমান, সাংবাদিক মো. তরিকুল ইসলাম, আতাউর রহমান জসি, কাজী ইদ্রিস আলী, বাজার কমিটির সভাপতি মোর্শেদ আলম, ডা. ঈবাদ আলী, ‘সেবা’র সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু, জুয়েল রানা প্রমুখ। মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠন ব্যানার নিয়ে অংশ নেয়।
সোহানা খাতুন উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মো. আব্দুল জলিলের মেয়ে এবং বায়সা-চাঁদপুর দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ৮ জুন উপজেলার মানিকালী গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে ঈদুল আজহার দিন বেলা ৩টার দিকে হাড়িয়া-পানিসারা ফুল মোড়ে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সে। এ ঘটনায় পুলিশ তার ফুপাতো ভাই নাজমুস সাকিব নয়নকে (১৯) গ্রেপ্তার করে। থানা-পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া নয়ন হাড়িয়া গ্রামের মো. ইলিয়াস রহমানের ছেলে এবং মনিরামপুর উপজেলার মাছনা কওমি মাদ্রাসার ছাত্র।
১২ জুন তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ‘ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে একটি পক্ষ সক্রিয় হয়ে উঠেছে। অভিভাবক সদস্য রবিউল ইসলাম মিলন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি মামলাটি নিয়ে প্রহসন করা হয়, তাহলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়া হবে।’