ঝিকরগাছা সংবাদদাতা
সোমবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মোড়ে অবস্থিত বিজয় স্তম্ভে কে বা কারা নিষিদ্ধ ‘জয় বাংলা’ লিখে দিয়েছে। এ ঘটনায় ঝিকরগাছায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি।
সরেজমিন দেখা গেছে, ঝিকরগাছা উপজেলা মোড়ে অবস্থিত বিজয়স্তম্ভে এবং কীর্তিপুরে পৌরসভা সীমানা প্রাচীরে নিষিদ্ধ ‘জয় বাংলা’ লেখা হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সোমবার রাতে (১৬ ডিসেম্বর) কে বা কারা অন্ধকারে লিখে রেখে গেছে। সাধারণ মানুষের মাঝে লেখাটি চোখে পড়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
একাধিক এলাকাবাসী জানান, ঝিকরগাছায় প্রকাশ্যে যে সকল সন্ত্রাসীরা ৫ আগস্টের আগে পর্যন্ত সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে তারা বীর দাপটে ঝিকরগাছা বাজার চষে বেড়াচ্ছেন। একইভাবে যে সকল নেতাদের নেতৃত্বে এ সকল সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছিল, তারাও ঝিকরগাছা বাজারে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এদের দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ঝিকরগাছায় কোন মামলা না হওয়ায় আজকের এই অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন করে ঝিকরগাছা বিএনপি অফিসে অগ্নিসংযোগসহ ভাঙচুর করা এক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আজও মামলা হয়নি। ১৯৯১ সালের যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য মকবুল হোসাইনকে আওয়ামী লীগের এক সন্ত্রাসী নির্মমভাবে ঝিকরগাছা বাজারে পিটিয়েছিল। সে নির্বিঘ্নে ঝিকরগাছা বাজারে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ঝিকরগাছা বাজারের ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। একাধিক মানুষ এ ধরনের কর্মকাণ্ডকে ‘আওয়ামী লীগ পুনর্বাসন কার্যক্রম’ হিসেবে ঘৃণার চোখে দেখছেন। এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা না নেয়ায় নিষিদ্ধ ‘জয় বাংলা’ লেখার সাহস পেয়েছে বলে এলাকাবাসীর দাবি।
নিষিদ্ধ ‘জয় বাংলা’ লেখার বিরুদ্ধে ঝিকরগাছা থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা, জানতে চাওয়া হলে ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ বাবলুর রহমান খান জানান, ঘটনাটি আইনের প্রক্রিয়াধীন আছে। তবে কেউ মামলা করতে চাইলে আমরা মামলা নিতে প্রস্তুত আছি।