ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের ওয়াজির আলী স্কুলের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অহতরা হলেন- সরকারি কেসি কলেজের শিক্ষার্থী শারমীন সুলতানা, আল-মামুন, সাদিয়া জেরিন, নুসরাত জাহান সাথি, সাজ্জাদ হুসাইন, হিরক হোসেন, সিটি কলেজের শিক্ষার্থী রিহান হোসেন, রিমি খাতুন, শৈলকুপা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী মানিক হোসেন, বাঙলা কলেজের মাহিন হোসেন ও কোটচাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শিখন খান।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, শহরের পায়র চশমযর এলাকা থেকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আল-ইমরানের নেতৃত্বে একটি দল দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্রসহ মিছিল নিয়ে ওয়াজির আলী স্কুলের সামনে যায়।
পরে স্কুল মাঠের মধ্যে থাকা কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় তারা। ঘটনার কিছু সময় পর পুলিশ এলেও ঘটনাস্থল থেকে মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে যান।
হামলার শিকার আহত শিক্ষাথী শারমীন সুলতানা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের জন্য ওযাজির আলী স্কুল মাঠে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। সে সময় অর্তকিতভাবে ছাত্রলীগের ক্যাডাররা অস্ত্র-শস্ত্র আমাদের ওপর হামলা চালায়।
এতে আমাদের অনেক সহযোদ্ধা আহত হয়েছেন। আমরা এর বিচার চাই।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব হোসেনের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিক বার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
যেকোনো ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে পুলিশের জোরালো উপিস্থিতি রয়েছে।