বাংলার ভোর ডেস্ক
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমাবেশে যিনি গুলি চালিয়েছেন তিনি পেনসিলভানিয়ার ২০ বছর বয়সী এক যুবক, জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, ট্রাম্পের সমাবেশে গুলি চালানো ব্যক্তি পেনসিলভানিয়ার ২০ বছর বয়সী এক যুবক।
কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা সংস্থা এপির সঙ্গে কথা বলেছেন, কারণ এসব এখনও জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি।।
এফবিআই বলছে, বন্দুকধারী এত গুলি চালাতে পেরেছে, যা ‘বিস্ময়কর’।
বন্দুকধারী গুলি চালানো শুরু করার আগ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানত কি না যে তিনি ছাদে ছিলেন, এমন প্রশ্নে এফবিআইয়ের পিটসবার্গ ফিল্ড অফিসের স্পেশাল এজেন্ট ইনচার্জ কেভিন রোজেক বলেন, ‘এই মুহূর্তে এটিই আমাদের মূল্যায়নের বিষয়।’
রোজেক বলেন, ‘হামলাকারী যে এতগুলো গুলি চালাতে সক্ষম হয়েছে এটি বেশ বিস্ময়কর।’
পরে তদন্তে সব তথ্য বেরিয়ে আসবে বলে জানান তিনি।
এদিকে রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, যেখানে সমাবেশ হয়েছে সেখানে পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব সিক্রেট সার্ভিসের।
সমাবেশস্থলে এমন কিছু ছিল কি না যা এর নিরাপত্তা জোরদার করতে বাধা দিয়েছে, প্রশ্নে লেফটেন্যান্ট কর্নেল বিভেনস সিক্রেট সার্ভিসের কাছে প্রশ্ন করতে বলেন।
বিভেনস বলেন, পুলিশ নিহত ও আহতদের শনাক্ত করেছে ,তবে তাদের নাম প্রকাশ করতে এখন প্রস্তুত নয়।
এফবিআই বলছে, ট্রাম্পের ওপর হামলার উদ্দেশ্য শনাক্ত করতে পারেনি তদন্তকারীরা।
পেনসিলভানিয়ার বাটলারে এক নির্বাচনি প্রচারে হামলার ঘটনায় আহত সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন ‘ভালো আছেন’ বলে তার শিবির থেকে জানানো হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, তাকে যে গুলি করা হয়েছে তা তার ডান কানের উপরের অংশে ভেদ করেছে।
হামলার ঘটনার পর দ্রুত সাবেক এই প্রেসিডেন্টকে সিক্রেট সার্ভিসের এজেন্টরা মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেন। তখন দেখা যায় তার কান থেকে রক্ত পড়ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও সব শ্রেণির রাজনৈতিক নেতারা এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।
বাইডেন বলেন, ‘আমেরিকায় এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই। এটা জঘন্য, জঘন্য’
শনিবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় এক নির্বাচনি প্রচারে ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে।