নিজস্ব প্রতিবেদক, ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাকে ভুয়া পরিচয়ধারী, পতিত সরকারের দোসর ও তাদের দুর্নীতির কাহিনী তুলে ধরে এক পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড আয়োজিত মঙ্গলবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফিরোজ রহমান।
লিখিত বক্তব্যে তিনি নিজেদের নির্দোষ ও কতিপয় মুক্তিযোদ্ধাকে দুর্নীতিবাজ আখ্যায়িত করে বলেন, পতিত সরকারের দোসর ও তৎকালীন দায়িত্বে থাকা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নূরুল ইসলাম মানিক, মুক্তিযোদ্ধা গাজী নাজিম উদ্দিন, এফএম নুরোন নবী খোকা ও রবীন্দ্রনাথ বৈরাগী দোকান ভাড়া তুলে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও নানা দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন।
২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর তাদের আয় ব্যয়ের হিসেব ও দুর্নীতির কারণ জানতে চাওয়ায় তাদের মধ্যে শুরু হয় গাত্রদাহ।
তারা সাত বছর পূর্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জমি দেয়ার নামে ৯ জন মুক্তিযোদ্ধার কাছে ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।
এমনকি আজও ওই মুক্তিযোদ্ধাদের জমি ও টাকা ফেরত দেয়া হয়নি। বর্তমান মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডে উল্লেখিত মুক্তিযোদ্ধাদের কোন পদ পদবী নেই অথচ তারা ভুয়া পরিচয় দিয়ে আসছে। তাদের ভুয়া পরিচয়দানের কারণ, জমি দেয়ার নামে গ্রহণকৃত টাকা ফেরত ও দোকান ভাড়া বাবদ লাখ লাখ টাকার হিসাব চাওয়ার বিষয় ধামাচাপা দিতে গত ২৬ অক্টোবর এ সংবাদ সম্মেলন করেন। যা ভিত্তিহীন ও অসত্য।
প্রতিবাদী কণ্ঠ মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফিরোজ রহমান, এসএম মোবারক আলী, শিক্ষক রিয়াজুল ইসলাম ও তাদের সন্তানদের জড়িয়ে ওই সংবাদ সম্মেলনে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এসএম মোবারক আলী, আলতাফ হোসেন, নির্মলেন্দু মন্ডল,আঃ খালেক মোড়ল ও বিকাশ বাকচি।

