রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রচণ্ড রোদ ও গরমের ভিতরে দিয়ে গরীবপুর শ্মশান মোড়ের পাশে তালরস বিক্রেতার বিক্রি বেড়েছে। গরমের কিছুটা স্বস্তি পেতে শিশু-তরুণ-বৃদ্ধ সববয়সীরাই বিকেল থেকে সন্ধ্যা রাত পর্যন্ত তালের রস পান করছেন।
মনিরামপুর উপজেলা গরিবপুর গ্রাম শ্মশান মোড়ে হেদায়েতুল্লাহ প্রতিদিন গাছ থেকে রস সংগ্রহ করে এনে বিক্রি করে থাকেন। পেশায় কৃষক হেদায়েতুল্লাহ তীব্র গরমের এ মৌসুমে কিছু অর্থের প্রয়োজনের পাশাপাশি মানুষকে সুস্বাদু তালরসের স্বাদ দেয়ার জন্য প্রতিদিন রস বিক্রি করে থাকেন। প্রধান তরুণ-যুবকরাই তারা ক্রেতা। তবে সববয়সীরাই আসেন তাল রস পান করতে। তিনি বলেন প্রতিদিন ৫ থেকে ৬টি তালগাছ থেকে প্রায় ১০ থেকে ১৫ ভাড় রস হয়। প্রতি গ্লাস রস ১৫ থেকে ২০ টাকা বিক্রি করি। অপর রস বিক্রেতা মোবারকপুর গ্রামের, সামছুর রহমান বলেন, বাড়ির কাজের পাশাপাশি বাড়িতে থাকা তালগাছ থেকে নিজেই রস সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করি। তিনি আরো বলেন, ২০ বছর ধরে গ্রামের ৮ থেকে ১০টা গাছ থেকে রস সংগ্রহ করি। একটা তাল গাছ থেকে প্রতিদিন সকাল, দুপুর ও বিকেলে তিন ধাপে ১০ থেকে ১৫ ভাড় রস সংগ্রহ করি। এছাড়াও উপজেলা নেংগুড়াহাটের বিভিন্ন অঞ্চলের লক্ষণপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম তাল রস বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তিনি বলেন, তাল গাছ কমে যাওয়ায়, তেমন রস সংগ্রহ করা যায় না। এদিকে রসের চাহিদাও অনেক বেশি,অনেকেই শখের বসে দূর দূরান্ত থেকে, এখানে এসে তালের রস পান করেন। তাল রস পান করতে আসা যুবলীগ নেতা মুর্শিদ হাসান (ইমন) বলেন, এখানকার তালের রস ভেজাল মুক্ত মিষ্টি ও সুস্বাদু। আজ প্রচন্ড গরম তালের রস খেয়ে অনেক তৃপ্তি পেলাম। আমাদের মুরুব্বিদের কাছ থেকে শুনে এসেছি তালের রসে মানুষের জন্য খুবই উপকারী।
শিরোনাম:
- কোটচাঁদপুর সরকারি কলেজ ছাত্রশিবিরের নবীণবরণ
- হাইকোর্টের আদেশ উপেক্ষা : ফ্যাসিস্টের রিপ্লেসে ‘দখল’ যশোর সিটি ক্যাবল
- যশোরে যৌথ বাহিনীর অভিযান, অস্ত্র-গুলি উদ্ধার
- মণিরামপুরের গৃহবধূকে আত্মহত্যা প্ররোচনা স্বামী-শ্বশুরের নামে চার্জশিট
- চোখে ‘শর্ষে ফুল’ দেখা সাজেদার এখন ফুলেল জীবন
- মৌমাছি স্কুলে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন
- যশোর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে কৃতি সংবর্ধনা
- সংগ্রামী রূপা খাতুনের সাবলম্বী হওয়ার গল্প