বাংলার ভোর প্রতিবেদক

তুলা চাষ বাড়াতে যশোরাঞ্চলে আড়াই হাজারের বেশি চাষিকে প্রণোদনার বিজ, সার ও কিটনাশক দেয়া হচ্ছে।

শনিবার দুপুরে শহরের খয়েরতলা এলাকার কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ কক্ষে ২৬ শ’ কৃষকদের মাঝে বিনামূল্য তুলা চাষের উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গবেষণা অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবুল বলেন, ‘সাড়ে আট হাজার টাকা মূল্যের সমপরিমাণ উপকরণ কৃষকদের প্রণোদনা হিসেবে দেয়া হচ্ছে। অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভ না পেলে কেউ চাষ করে না। তুলা চাষে সময় বেশি নিলেও লাভের অংক বেশি। বিঘাতে ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকার তুলা উৎপাদন হয়। তুলা চাষ বাড়ানোর জন্যে সরকার নানামুখি উদ্যোগ নিচ্ছে’।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তুলা উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল আমিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আয়োজক প্রতিষ্ঠান যশোরের উপ পরিচালক তাসদিকুর রহমান, প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে যোগ দেয়া কৃষক আবদুল আলিম বলেন, ১০ বছর পরে গত বছর থেকে আমাদের এলাকায় নতুন করে তুলা চাষ শুরু হয়েছে। অন্য ফসলের মত তুলা বিক্রিতে কোনো সমস্যা নেই। তুলার সূতা তৈরির কারখানার মালিকেরা পরিবেশকের মাধ্যমে বাড়ি থেকেই উৎপাদিত তুলা কিনে নিচ্ছেন। আবার অন্য ফসলের তুলনায় তুলা চাষে পরিচর্যাও কম। তুলার গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এসব অনেক সুবিধা আছে। যে কারণে গত বছর প্রথমবার তুলার চাষ করে লাভবান হয়েছি। এ বছর আরো এক বিঘা জমিতে চাষ বাড়াবো’।

গত বছর ৩৩ শতকের এক বিঘা জমিতে কার্পাস তুলা চাষ করে ৪৮ হাজার টাকায় বিক্রি করেন কৃষক আবদুল আলিম। সার, বিজ, বালাইনাশক ছিটানো, শ্রমিক সব মিলিয়ে খরচ হয়েছিলো ১৮ হাজার টাকা। খরচ বাদে তার ৩০ হাজার টাকা লাভ হওয়ায় এ বছর দুই বিঘা জমিতে আবাদের উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। আবদুল আলিমের বাড়ি যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মোহিনীকাঠি গ্রামে।

শুধু আবদুল আলিম না, ওই গ্রামের রবিউল ইসলামও তুলা চাষে লাভবান হয়েছেন। তিনিও এ বছর দেড় বিঘা জমিতে আবাদ করবেন বলে জানিয়েছেন।

Share.
Exit mobile version