এস এম জালাল
দেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর বেনাপোল ও শার্শা উপজেলা নিয়ে যশোর-১ (শার্শা) আসন গঠিত। সব রাজনৈতিক দলের কাছে এই আসনটি গুরুত্বপূর্ণ। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্যতম বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য মফিকুল হাসান তৃপ্তি। আগামী সংসদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে প্রতিনিয়ত সভা, সমাবেশ, বৈঠক করে ভোটারদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি। এবারও ধানের শীষ প্রতীক পেলে মানুষের ভালবাসায় বিজয় উপহার দিতে পারবেন বলেও আশাবাদী ছাত্রদলের সোনালী অতীতের এ নেতা। দলের তৃণমূল থেকে হাইকমাণ্ড পর্যন্ত গড়ে তুলেছেন নিবিড় সম্পর্ক। জনপ্রতিনিধি ও নেতা হিসেবে মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন।
মফিকুল হাসান বলেন, এ আসন থেকে আমি ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়ে সংসদ গিয়ে এ অঞ্চলের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেছি। ফলে এ অঞ্চলের মানুষের কাছে আমি পরীক্ষিত নেতা। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। দল আমাকে মনোনয়ন দিলে কোনো বিভেদ থাকবে না। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আবারও ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি বলেন, জুলুম নির্যাতন ভোগ করে দীর্ঘদিন আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে ছিলাম। নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছি। হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী হয়েছি। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিরুদ্ধো রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। হয়েছি। ৫ আগষ্ঠের পর কোথাও যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা না হয়, সে ব্যাপারে জিরো টলারেন্সে আছি। চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলবাজির প্রশ্রয় দিইনি। বিএনপি যাকে মনোনয়ন দেবে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবেই কাজ করবে।
তৃপ্তি বলেন, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে দলের সাথে আছি। ১৯৭৯ সালে ছাত্ররাজনীতি দিয়ে যাত্র শুরু করি। এখনও দলের প্রয়োজনে রাজপথে আছি। এরশাদ বিরোধি আন্দোলনে রাজপথে সক্রিয় ছিলাম। দলের প্রতিটি ক্রান্তিকালে রাজপথে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দলের দপ্তর সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। ধাণের শীষ প্রতীক নিয়ে যশোর-১ থেকে সংসদ সদস্য হয়েছি।
তিনি বলেন, দল আমাকে সব সময় মূল্যায়ন করেছে। অতীতের মত এবার দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আগামীর রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমান আমাকে আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীক দিবেন বলে তিনি আশাবাদি। সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আবারও ধানের শীষকে বিজয়ী করবে।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি একজন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের রাজনীতিবিদ। তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যশোর-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে (যশোর-১) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।
মফিকুল হাসান তৃপ্তি ছাত্রজীবনে রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন তিনি বিএনপি ছাত্র সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হন। তিনি ঢাবির এসএম হলের সভাপতি, ঢাবি কমিটির ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সহ-সম্পাদক, যুগ্ম সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তীতে তিনি বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক, নির্বাহী কমিটির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।