শ্যামনগর প্রতিনিধি
শ্যামনগর উপজেলা সদরের নকিপুর-হাটচালা সড়কটি প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজের জন্য দীর্ঘদিন ধরে খুঁড়ে রাখা হয়েছে। উপজেলার ব্যস্ততম এ সড়কটির উন্নয়নকাজ চলছে ধীরগতিতে। সড়কের দুই পাশ খুঁড়ে ইটের টুকরো ফেলে রাখা হলেও রোলিংসহ অন্যান্য কাজের অগ্রগতি নেই। সংস্কার কাজের কারণে নকিপুর বাজার অংশে পথচারী ও যানবাহন চালকদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, পাঁচ মাস ধরে সড়কটির দুই পাশ খুঁড়ে রাখা হয়েছে। এতে সড়কটি সংকীর্ণ হয়ে পড়ায় প্রতিদিন নকিপুর বাজার অংশে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে পথচারী, যাত্রীসহ বাজারের ব্যবসায়ীদের অসুবিধা হচ্ছে। প্রতিনিয়ত ছোট-বড় দুর্ঘটনার ঘটনাও ঘটছে। বার বার বলা সত্ত্বেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল বিভাগের তত্ত্বাবধানে গত আগস্ট মাসে হায়বাদপুর থেকে হাটচালা পর্যন্ত দুই ভাগে ১ হাজার ৭৬০ মিটার সড়ক প্রশস্ত এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু হয়। প্রায় দেড় কোটি টাকার প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে জাহাকাউল্লাহ অ্যান্ড ব্রাদার্স নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। প্রকল্পের আওতায় নকিপুর এইচসি সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে পাউবো অফিস পর্যন্ত সড়ক প্রশস্তকরণ এবং চণ্ডিপুর থেকে বিএম টেকনিক্যাল কলেজ পর্যন্ত সংস্কারকাজ করা হচ্ছে। কিন্তু ঠিকদারি প্রতিষ্ঠান ঢিমেতালে কাজ করায় যাত্রী, পথচারী ও এলাকাবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
নকিপুর এইচসি সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র রুদ্র মিস্ত্রি জানায়, সড়কটির দু’পাশ খুঁড়ে ফেলে রাখায় বিদ্যালয়ে যাতায়াতের সময় তাদের যানজটে আটকে থাকতে হয়। সাইকেলযোগে যাতায়াতকারী অনেক শিক্ষার্থী সড়কের খুঁড়ে রাখা অংশে ফেলে রাখা ইটের ওপর পড়ে আহত হচ্ছে।
নকিপুর বাজারে আসা গৃহবধূ মোমেনা বলেন, সড়কটি দীর্ঘ সময় ধরে খুঁড়ে রাখায় বাজারে আসতে তাদের প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাতে হয়। বাজার এলাকায় মানুষজন ও যানবাহনের ভিড়ে চলাফেরায় বিশেষ করে নারীদের বেশি অসুবিধা হয়। অনেক সময় নাজেহালও হতে হয়।
নকিপুর বাজারের ব্যবসায়ী জহুরুল হক বলেন, রাস্তার দু’পাশে ফেলে রাখা ইটের টুকরার আঘাতে পথচারীসহ দোকানি আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। দ্রুত কাজ শেষ করতে বার বার বলা সত্ত্বেও ঠিকাদার কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের লোকজন তাদের অনুরোধে কর্ণপাত করছেন না।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নুরুল হক মোল্যা বলেন, রোলার মেশিন না পাওয়া যাওয়ায় কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিল। শিগগিরই গোটা সড়ক খুঁড়ে একসঙ্গে রোলিং করা হবে। দ্রুত কাজ শেষ করার আশ্বাস দেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কিছু কাজে অসংগতি ও রোলার মেশিন না থাকায় কাজ বন্ধ ছিল। রোলার মেশিন পাওয়া যাওয়ায় দু’একদিনের মধ্যে আবারও কাজ শুরু হবে।
শিরোনাম:
- ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে যশোরে বিক্ষোভ
- দেশে শয়তানের প্রয়োজন নেই জামাতই যথেষ্ট : মতিয়ার ফরাজী
- যশোরে ইজিবাইক ধোয়া নিয়ে দ্বন্দ্বেই খুন হন জাহিদুল
- রোববার যশোরে দুদকের গণশুনানি
- তারেক রহমানের উৎসাহে তৃণমূল খেলোয়াড়দের নিয়ে জিয়া ফুটবল টুর্নামেন্ট
- এপেক্স ক্লাব অব নড়াইলের উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা
- সবজিতেই স্বস্তি ক্রেতার
- ভাগ্য এক দুর্ভাগ্য
