বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শার্শার কাগজপুকুর এলাকায় অবস্থিত তনিমা ফিলিং স্টেশনে ভাংচুর, লুটপাট ও সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ২৪ আগস্ট সকাল ও সন্ধ্যায় দফায় দফায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় বলা হয়, তনিমা ফিলিং স্টেশনের মালিক ‘আওয়ামী লীগের দালাল।’ অথচ, ২০১৭ সালেও এ ফিলিং স্টেশনে হামলা চালানো হয়। সে সময় বলা হয়েছিলো, ‘এরা বিএনপি-জামাতের দালাল।’ দু’আমলেই হামলার শিকার তনিমা ফিলিং সম্পর্কে স্থানীয়রা বলছেন, এই পরিবারটি নিরীহ প্রকৃতির।
তাদের কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। এজন্যই জমিজমার একটি মামলা পূঁজি করে এ ফিলিং স্টেশনটি প্রভাবশালীরা দখল নিতে চায়। সর্বশেষ হামলার ঘটনায় বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা জড়িত বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
তারা বলেন, এদিন সকাল ১১ টার দিকে তনিমা ফিলিং স্টেশনের ভিতর প্রবেশ করে সোহরাব নামে একজনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সাইনবোর্ড ভাংচুর, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও দলিলপত্র নিয়ে যায়।
ফিলিং স্টেশনের ক্যাশবাক্স ভেঙ্গে নগদ প্রায় তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। সিসিটিভি ভাংচুর করে তাদের লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা প্রমাণ থাকায় সিসিটিভির হার্ডডিস্ক পর্যন্ত নিয়ে পাম্প বন্ধ করে চলে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর ফের সন্ধ্যায় সন্ত্রাসীরা এসে ভাংচুর ও লুটপাট কর্মকান্ড শুরু করে।
এসময় তনিমা ফিলিং স্টেশনের মালিক মৃত গোলাম কিবরিয়ার দুই ছেলে ফাহমিদ কিবরিয়া ও ফারদিন কিবরিয়াকে হুমকি দিয়ে পাম্পে আগুন জ্বালিয়ে দিতে চায়।
এর আগে ২০১৭ সালেও একবার তনিমা ফিলিং স্টেশনে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছিলো। তখন আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ২০ থেকে ৩০ জন সন্ত্রাসী এসে ভাংচুর ও লুটপাট করে পাম্পে তালা লাগিয়ে দিয়ে যায়।